সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিশ্বকাপ শুরু হতে এক সপ্তাহ বাকি। তার আগে দেশের ক্রিকেটে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দলের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বিশ্বকাপের আগেই জমে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
তামিম বাদ পড়েছেন বিশ্বকাপের দল থেকে। কেন বাদ পড়েছেন এই ব্যপারে তামিম ইকবাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, তাকে ওপেনিং পজিশন ছেড়ে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার প্রস্তাব দেওয়া হলে সেটি তিনি মানতে না পেরেও সরে দাঁড়ান। তামিমের এমন বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর টি-স্পোর্টসে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাকিব আল হাসানকে প্রশ্ন করা হয়, তামিমের বাদ পড়ার কারণ কী। এর পেছনে সাকিবের হাত আছে কী না।
এমন প্রশ্নে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘দেখেন আমি অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে খেলা শুরু করেছি বাংলাদেশের হয়ে, তখন থেকে দেখে আসছি, খুব ভালোভাবে যে প্লেয়ার দলের জন্য অবদান রাখছে, ভালো করছে, তাকে কখনো বাদ দেয়নি বাংলাদেশের কোনো দল। কোনো দিনও না। সিম্পল একটা উদাহরণ দিই—রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) ছিলেন না, হঠাৎ করে বিশ্বকাপ দলে আসলেন। হয়তো যে দুই ম্যাচে খেলেছেন, সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি সেভাবে। সুযোগ ছিল, পারফেক্ট স্টেজ ছিল ভালো করার ওনার জন্য। তবে ওনার যে নিবেদন, দলের প্রতি দায়বদ্ধতা, ইচ্ছা ছিল, সবাই দেখেছে সবকিছু। পার্থক্য আছে।’
তামিমকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেওয়ার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি যেটা বললাম, আলোচনাই হয়নি এটা নিয়ে আমার সঙ্গে। কেউ যদি বলে থাকে, সেটা অথরাইজড কেউ। আগে থেকে আলাপ করে রাখতে চেয়েছিল, যাতে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এতে খারাপের কিছু দেখি না। খারাপের জন্য তো বলবে না। আমি নিশ্চিত, কেউ যদি বলে থাকে, দলের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে “ওকে, ঠিক আছে, এমন কম্বিনেশন যদি করি! এ রকম বানালে কী হতো।” অনেক থাকে এমন। ম্যাচকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু হয়। সে হিসাবে চিন্তা করে আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখতে চায়, (তাহলে) আলোচনা দোষের কিছু না। নাকি প্রস্তাবই দেওয়া যাবে না? একজনকে বলা হবে, “যে যা ইচ্ছা তা–ই করো।” দল আগে না ব্যক্তি আগে?’
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার উদাহরণ টেনে সাকিব বলেন, ‘রোহিতের (শর্মা) মতো ক্রিকেটার নাম্বার সেভেন থেকে এসে ১০ হাজার করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে সে–ও যদি তিন–চারে খেলে, ব্যাটিংয়ে না নামে, খুব একটা কি সমস্যা হয়? এটা আসলে আমার কাছে মনে হয়, একদম বাচ্চা মানুষের মতো, “আমার ব্যাট আমি খেলব। আর কেউ খেলতে পারবে না।’
তামিম টিম-ম্যান কী না এমন প্রশ্নও তুলেছেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দলের প্রয়োজনে যে কারও যেকোনো জায়গায় খেলা উচিত। টিম ফার্স্ট। ১০০-২০০ করে দল হারল, কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে কী করবেন আপনি আসলে? আপনি শুধু নিজের নাম কামাবেন? তাহলে কী? ইউ আর নট থিঙ্কিং অ্যাবাউট দ্য টিম, ইউ আর নট থিঙ্কিং অ্যাবাউট দ্য টিম অ্যাট অল...মানুষ এই পয়েন্টগুলাই বোঝে না। যখন দেখলেন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কেন দেওয়া হয়েছে? হয়তো দলের ভালো হবে। অবশ্যই আলোচনা আছে যে না আমি পারব, আমি নিজের সেরাটা দেব। তাহলে আপনি টিম-ম্যান। না হলে আপনি টিম-ম্যান না। নিজের রেকর্ড, সাফল্য, খ্যাতির জন্য খেলছেন।’
এমআর/