সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নিউজিল্যান্ডের কাছে ২০০৮ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে সবশেষ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর গত ১৫ বছরে ঘরের মাঠে একবারও হারতে হয়নি বাংলাদেশকে। লম্বা সময় পর অবশেষে জয়ের বৃত্ত ভাঙল কিউইদের বিপক্ষে।
শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৬ রানে হারল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাক্যা পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার লিটন দাসকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান কাইল জেমিনসন। এরপর ১৬ রান করে লকি ফার্গুসনের হাতে তানজিদ তামিম ক্যাচ দেন ইশ সোধির বলে।
লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফেরা সৌম্য সরকারকে রানের খাতাই খুলতে দেননি সোধি। মাত্র দুই বল খেলে সোধির হাতেই ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাওহীদ হৃদয় ৭ বলে ৪ রান করে বোল্ড হন সোধির বলে।
তবে দলের বিপাকে একপাশ আগলে রাখেন তামিম ইকবাল। লম্বা সময় পর দলে ফেরা তামিম অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি পঞ্চাশের ঘর। দলীয় ৯২ রানের মাথায় সোধির বলেই ক্যাচ দেন টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে। ৫৮ বলে ৭৫.৮৬ স্ট্রাইক রেটে ৭টি চারে ৪৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
তামিমের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদীর জুটি আশা দেখা সেই আলো নিভিয়ে দেন সোধি। শেখ মেহেদীকে ১৭ রানে ফিরিয়ে এই কিউই স্পিনার তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
এরপর মাহমুদউল্লাহ'র একার লড়াই। ৭৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ম্যাককনির বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে। তবে শেষ দিকে নাসুম আহমেদের ১ চার ও ২ ছয়ে ৩০ বলে ২১ রানের ইনিংসটা দর্শকদের খনিকের আনন্দ দিলেও ততোক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। বাকি ব্যাটাররা মিলে ১৬৮ রান তুলতেই থামতে হয় ৪১.১ ওভারের মাথায়।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছেন ইশ সোধি। ২ট উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমইনসন ও ১টি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন এবং ম্যাককনি।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
তৃতীয় ওভারেই উইল ইয়াংকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। সপ্তম ওভারে ফিন অ্যালেনকেও (১২) ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর দলীয় ৩৬ রানের মাথায় অভিষিক্ত খালেদ মাহমুদ নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই তুলে নেন চাদ বোয়েসের (১৪) উইকেট।
এরপর ৯৫ রানের জুটি গড়ে কিউইদের ম্যাচে ফেরান টম ব্লান্ডেল ও হ্যানরি নিকলস। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় নিকলসকে ৪৯ রানে ফিরিয়ে ফিয়ে জুটি ভাঙেন খালেদ।
রাচিন রবীন্দ্রকে ১০ রান ফেরান শেখ মেহেদী। একপাশ আগলে রাখা টম ব্লান্ডেল তুলে নেন ফিফটি। তবে ৬৮ রানের মাথায় হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্লান্ডেল।
ম্যাককইনিকে ২০ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন নাসুম আহমেদ। এরপর কাইল জেমিনসনকে ২০ রানে ফেরান মেহেদী। তবে ইনিংসের ৪৬ ওভারের চতুর্থ বল করতে যাওয়া হাসান মাহমুদ ননস্ট্রাইকে থাকা ইশ সোধিকে রান আউট (মানকাডিং) করে ফেরালেও লিটন দাসের অনুরোধে আবারো ব্যাটিংয়ে ফেরেন সোধি। ১৭ রানে ফেরা সোধি জীবন পেয়ে করেন ৩৫ রান। তাকে ফেরান খালেদ। লকি ফার্গুসনকে ১৩ রানে ফেরান মেহেদী।
বাংলাদেশের পক্ষে সমান ৩টি করে উইকেট নেন খালেদ ও মেহেদী। ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর। ১টি করে উইকেট নেন হাসান ও নাসুম।
এমআর/