সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলাটা আগেই নির্ধারিত ছিল। বলা হচ্ছিল এই সিরিজটা দুই দেশের জন্যই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ। কিন্তু সেটি আর হলো কই। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত নিউজিল্যান্ড দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই নেই বাংলাদেশ সফরের দলে।
তবে যারা আছেন তাদের নিয়েই লড়তে হবে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে। তাছাড়া ফার্গুসন মনে করিয়ে দেন নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী দল।
‘কন্ডিশন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে বাংলাদেশের থেকে নয় অবশ্যই। বাংলাদেশ প্রবল শক্তিশালী। আমরা যথেষ্ট হোম-ওয়ার্ক করেই এসেছি। ওদের মূল দল নেই। তবে শক্তিশালী দল কিন্তু রয়েছে। আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। আশা করছি যখন সময় আসবে আমরা সেরাটা দিতে পারব।’
বাংলাদেশের মাটিতে ২০০৮ সালের পর আর কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৮ ম্যাচের একটি বাতিল হওয়া ছাড়া বাকি সাত ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মন্থর উইকেট কিউইদের জন্য কতটা কঠিন সেটা অতীত ঘাঁটলেই বোঝা যায়। এবারও তেমন কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে যাচ্ছে তারা। সেটাই মনে করিয়ে দিলেন লকি ফার্গুসন।
‘এখানে এসে খেলার যে সুবিধা তা হলো আপনি আপনাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। বিশেষ করে স্পিনারদের সামনে। নিজে কতটা লড়াকু পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। আমরা সুইং বোলিংয়ে বেশি পরিচিত। ব্যাটসম্যাটনরাও খেলে অভ্যস্ত। এখানে তারা সুইং বোলিংয়ের সঙ্গে স্পিন খেলবে তা নিশ্চিতভাবেই কঠিন পরীক্ষা হবে।’
কদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। সেখানে খেলে সোজা বাংলাদেশে। কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। তবে ফার্গুসন এই ভিন্ন কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জটা জিততে চান।
‘খুব ভালো লাগছে এখানে প্রথমবার এসে। ইংল্যান্ড থেকে এসেছি। কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। তবে একটা বিষয় হলো, আমি উপমহাদেশে খেলতে পছন্দ করি। এখানে চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। নিজের সঙ্গে জিততে হয়। আরেকটি বিষয়, বাংলাদেশ কিন্তু নিজেদের কন্ডিশনে শক্তিশালী দল। এখানে শেন জার্গেনসন ছিলেন। এছাড়া বেশ কিছু খেলোয়াড় আগেও সফর করে গেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পারছি এখানের উইকেটের আচার-আচরণ।’
প্রথমবার কিউইদের নেতৃত্বভার উঠেছে পেসার লকি ফার্গুসনের কাঁধে। দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত লকি জানিয়েছেন, অধিনায়ক হওয়া গর্বের।
‘নিশ্চিতভাবেই অধিনায়ক হতে পারা গর্বের। যদিও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি যখন তিন অধিনায়কই বাইরে আছে। তবুও এটা আমার গর্বের কারণ। পেস বোলার হিসেবে আপনার এমনিতেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এবার বাড়তি দায়িত্ব যুক্ত হয়েছে যা নিশ্চিতভাবেই আমার কাজটাকে আরও আনন্দিত ও চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।’
এমআর