সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফলের রাজা আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলায় অনেকে পারিবারিকভাবেই আম চাষাবাদ করেন। তবে পচনশীল হওয়ায় চোখের সামনে বিপুল পরিমাণ অর্থের আম প্রতি বছর নষ্ট হতে দেখে অনেকেই আমের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে অন্য ফল চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এমনই এক যুবক শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আলহাজ ইনসান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন। যিনি ইউটিউব দেখে সৌদি আরবের খেজুর চাষ শুরু করেন।
এই যুবক জানান, ইউটিউব দেখে ও প্রবাসী বন্ধুদের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে গড়ে তোলেন সৌদি খেজুরের বাগান। প্রায় দুই বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু করলেও এখন তার খেজুর বাগানের পরিধি প্রায় ১০ বিঘা। তার বাগানে এখন ঝুলছে আরবের বিখ্যাত আজওয়া, মরিয়ম, দাবাস, বারিহী, চেগিসহ অন্তত ১০ জাতের খেজুর। তার বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা সৌদি খেজুর।
স্থানীয়রা আমের রাজধানীতে সৌদি খেজুরের বাগান করা নিয়ে প্রথমদিকে নানা উপহাস করলেও গত বছর থেকে গাছে ফলন দেখে ধারণা পাল্টে গেছে তাদের। প্রতিনিয়ত মোশাররফ হোসেনের খেজুর বাগান দেখতে আসছে আশপাশের তরুণ ও কৃষি উদ্যোক্তারা।
কৃষি বিভাগের দাবি, সৌদি খেজুর লাভজনক হওয়ার পাশাপাশি এতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। পানির সংকট থাকা জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য সৌদি খেজুর চাষাবাদ সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও এবছর প্রায় ৫০ মণ খেজুরে ২৫ লাখ টাকা আয়ের আশা উদ্যোক্তা মোশাররফ হোসেনের। গত বছর গাছে আসা খেজুর স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদেরকে খাইয়ে শেষ করলেও শুধুমাত্র চারা বিক্রি করেই ৫ লাখ টাকা আয় করেছিলেন তিনি।
এইউ