সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্নির বাওড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এ বাইচের আয়োজন করা হয়। বহু বছর ধরে এখানে এ নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোর এ নৌকাবাইচ উপভোগ করে। বাইচ উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে বসে গ্রামীণ মেলা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নবাসী প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী বর্নি বাওড়ে বহু বছর ধরে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। চিত্তবিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষায় থাকেন এ এলাকার মানুষসহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ। উপভোগ করেন কাসির তালে তালে মাল্লাদের গাওয়া জারি-সারি আর বৈঠার ছলাৎ, ছলাৎ শব্দ।
এ নৌকাবাইচে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাছারী নৌকা অংশ নেয়। বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ নৌকাবাইচ। বাওড়ের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য নৌকায় বসে নানা বয়সী নারী-পুরুষ উপভোগ করেন বাইচ।
এছাড়া বাওড়ের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষও উপভোগ করেন এ দৃষ্টিনন্দন বাইচ। মেলা উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে গ্রামীণ মেলা বসে। এ মেলায় মিষ্টি, চানাচুর, চটপটি, ফুসকাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ও শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ বাঁচিয়ে রাখতে সবাই এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা দর্শনার্থীদের। গোপালগঞ্জ শহর থেকে নৌকাবাইচ দেখতে আসা আকবর হোসেন, সজিব বিশ্বাস জানান, আমাদের আগের নানা ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ এসব ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এই নৌকাবাইচের আয়োজক খালিদ হোসেন জানান, আগামীতেও এ ঐতিহ্য ধরতে রাখতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হবে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারকুশলি গ্রামের মামা-ভাগ্নে নৌকা প্রথম, বর্নি গ্রামের স্বপ্নের তরী দ্বিতীয় ও জোয়ারিয়া গ্রামের জয়মা দূর্গা নৌকা তৃতীয় হয়।
এইউ