দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুযারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগ পত্র জমাদান শেষে যমুনায় সাংবাদিকদের নাহিদ ইসলাম বলেন, যে আকাঙ্ক্ষার জন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছে সেই শক্তিকে সংহত করতে আমি মনে করছি, সরকারের থেকে সরকারের বাইরে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে। বাইরে যে আমাদের সহযোগী যোদ্ধা রয়েছে তারাও এটি চান।
এদিকে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সহযোদ্ধাসহ অনেকেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
বাদ পড়েননি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর নতুন পথচলায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন দলের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নতুন পথচলায় তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আশা করি, তার নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক দল গঠিত হবে তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর অটল থাকবে। নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে তারা যাতে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক চেতনা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীগুলির অপতৎপরতা এবং গোপন তৎপরতার রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘জনাব নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে পদত্যাগ করার অব্যবহিত পরেই দলের দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনায় এটা সুস্পষ্ট যে দল গঠনের জন্য বিগত দিনগুলোতে যে প্রক্রিয়া চলেছে, নাহিদ ইসলাম সরকারে থেকেও সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দল গঠন প্রক্রিয়ার কিছু না জেনেই হঠাৎ করে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন, এমন যুক্তি অবিশ্বাস্য।
‘নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করলেও সরকার নিরপেক্ষ থাকবে না। জনাব আসিফ মাহমুদ এবং জনাব মাহফুজ আলম ডিফ্যাক্টো নতুন দলের নেতা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা নতুন দলের হয়েই করবেন। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া অসম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, সরকারকে নিরপেক্ষ করতে হলে সব ছাত্র প্রতিনিধিকে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা পরিহার করতে হবে।’
এফএইচ/