দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের ফজিলত বেশি। এই দিনের মধ্যে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বিশেষ কিছু সওয়াব নিহিত রেখেছেন। জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে। পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে।
তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগেরটির নাম সুরা ‘সফ’, যার অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা তৈরি হয়, এ ইঙ্গিত রয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,
হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা জুমা, আয়াত :০৯)
মহান আল্লাহ তার প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরুদ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেশতারা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরুদ পাঠ ও সালাম প্রেরণ করে থাকি। হে মুমিনরা! তোমরাও তার ওপর দুরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দুরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়।’ (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬) দুরুদটি হলো—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।
এ ছাড়াও জুমার দিনে যেকোনো দুরুদ পাঠে রয়েছে অনন্য ফজিলত। জুমার দিনে বেশি বেশি দুরুদ পাঠের কথা হাদিস শরিফে এসেছে। হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠ করা দুরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দুরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (আবু দাউদ ১০৪৭)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দুরুদ পাঠ কর। কারণ, জিবরাইল (আ.) এইমাত্র মহান আল্লাহর বাণী নিয়ে হাজির হলেন। মহান আল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি। আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তিগফার করে। (তারগিব ৩/২৯৯)
এস