সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জানাজা একটি বিশেষ প্রার্থনা যা কোনো মৃত মুসলমানকে কবর দেওয়ার পূর্বে সংগঠিত হয়। সচরাচর এটি জানাজার নামাজ নামে অভিহিত হয়। এই নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য বিশেষ এক দোয়া। আর সে দোয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এ পদ্ধতিতেই শিক্ষা দান করেছেন। এ দোয়ার মধ্যে রুকু-সিজদা থাকবে না। আর এ কারণেই জানাজার পর মৃত ব্যক্তিকে সামনে রেখে অতিরিক্ত দোয়া বা মুনাজাতের বিধান নেই।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ভাবেই মুর্দার জন্য দোয়া শিখিয়েছেন। এটাই আসল। এরপর আমাদের জন্য কোনো কারণ খোঁজার দরকার নেই। (আল-বাহরুর রায়িক ২:১৮৩, ফাতাওয়া আলমগিরি, ১:১৬৪৩ বাদায়িউস সানায়ি ১:৩১৪)
আর জানাজা এক ধরনের নামাজ। এই নামাজ পড়ার নিয়ম হলো, ইমাম মৃতের বক্ষ বরাবর দাঁড়াবেন। (বুখারি ১২৪৬) ইমামের পেছনে মুক্তাদিদের কাতার হবে। (ইবনে হিব্বান ৩১০২)
সবাই আল্লাহর ইবাদত হিসেবে জানাজার ফরজ আদায়ের নিয়ত করবে। (বুখারি ১) এরপর তাকবিরে তাহরিমা বলবে। কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে। তারপর ছানা পড়বে। অতঃপর তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবে। এই তাকবিরে হাত ওঠাবে না।
তারপর তৃতীয় তাকবির বলে মৃত ব্যক্তি ও মুসলমানদের জন্য দোয়া করবে। তখনো হাত ওঠাবে না। তারপর চতুর্থ তাকবির বলবে। তখনো হাত ওঠাবে না। (দারাকুতনি ১৮৫৩, ইবনে আবি শায়বা ৩/২৯৫)
ইমাম তাকবির উচ্চস্বরে বলবেন, বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চস্বরে পড়বেন। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চস্বরে পড়বে। (আবু দাউদ ২৭৮৪, সুনানে কুবরা ৭৪৩৩) অতঃপর ডান এবং বাঁম দিকে সালাম ফেরাবেন। (সুনানে কুবরা ৭২৩৮) সুতরাং জানা গেল যে জানাজার নামাজে রুকু ও সিজদা নেই।
জানাজার নামাজ মৃত ব্যক্তির পক্ষে শুধুই সুপারিশ ও দোয়া। আর রুকু-সিজদার কারণ ও উদ্দেশ্য এর বিপরীত। কেননা রুকু ও সিজদায় নিজের সর্বনিম্ন অক্ষমতা ও অপদস্থতা এবং আল্লাহ তাআলার সীমাহীন মর্যাদা, বড়ত্ব ও মহত্ত্ব প্রকাশ করা হয়। জানাজার নামাজে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা, গুণাগুণ এবং অন্যদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। তাই জানাজার নামাজে রুকু-সিজদার বিধান দেওয়া হয়নি।
এস