সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি ঢাকা সফর করা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা ‘নিরপেক্ষ নন’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (১২ আগস্ট) ভিডিওসহ একটি টুইট করেন শাহরিয়ার আলম।
টুইটে তিনি লিখেন, সবার অবশ্যই জানা উচিত যে- এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন হলো, তারা কি বিনা পয়সায় এটা করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের বেতন দিচ্ছেন? আমরা এই কেন-এর উত্তর জানি।
একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক তার এই টুইটটি রিটুইট করে লিখেছেন, পশ্চিমা সমাজে কোনোকিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না! মজুরি ঘণ্টাভিত্তিক পরিষেবার ভিত্তিতে!
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জন ড্যানিলোভিজ। ফিরতি টুইটে ড্যানিলোভিজ বলেছেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জানেন এটি মিথ্যা এবং এটি দুঃখজনক যে, তিনি চরিত্রহননের সঙ্গে জড়িত। আমি বুঝতে পারি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি যে, তিনি এই ধরনের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আছে। সেখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।
শাহরিয়ার আলমের টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সঙ্গে সাবেক কূটনীতিকদের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
উইলিয়াম মিলাম ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং ‘দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিত’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন ড্যানিলোভিজ ২০০৭ সাল এবং ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দুইবার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও ম্যাগাজিনটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির অর্থায়নে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে পত্রিকাটি পরিচালনা করেন মুশফিকুল ফজল আনসারি।
শাহরিয়ার আলমের ভিডিও স্টোরিতে প্রশ্ন করা হয়, কিভাবে মার্কিন কূটনীতিকরা এমন একটি দলের পক্ষে ওকালতি করতে পারেন, যেটি এখন পলাতক ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ‘হিংসাত্মক রাজনীতির প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত এবং মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে? জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ এবং ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।
জেডএ