দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার জালিয়াতি প্রমান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগদের প্রধান কার্যালয়ে অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে দুদক। অভিযান শেষে নগদ কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির সত্যতা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
নগদের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে যে কোন মানুষের মনে করবেন এটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তবে আশ্চর্যকর বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির ৭০ ভাগের বেশি শেয়ার অংশীদার হলেন বিদেশি বিনিয়োগকারী। অভিযোগ রয়েছে নিয়ম না মেনে গ্রাহকদের ডিপোজিটরের টাকা সরিয়ে ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে, ফলে গ্রাহকরা ট্রানজেকশন করতে পারলেও ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
এমন সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে, নগদের প্রধান কার্যালয়ে দুদক কর্মকর্তা রুহুল হকের নেতৃত্বে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে দুদক। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে খোদ নগদের প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার। তিনি বলেন, নগদ ৬০০ কোটি টাকার উপরে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করেছে এবং ১৬০০ থেকে ১৭০০ কোটি টাকা অজানা স্থানে সরিয়ে ফেলেছে।
দুদক কর্মকর্তা বলছেন, নগদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে তারা। সেই প্রতিবেদনে আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
সহকারী পরিচালক দুদক তানজির আহমেদ, আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করব।
এসময় তিনি আরো জানান, যাদের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে তাদের শনাক্ত করতে নগদের অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এফএইচ/