দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে দেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন। এখানে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তারা অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানান।
সকালে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন আহত ব্যক্তিরা। এসব এলাকা দিয়ে যানবাহন যেতে দেওয়া হয়নি। রোগী বা অ্যাম্বুলেন্স দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশে দেখা দেয় যানজট।
এদিকে দুপুরে মিরপুর সড়কও অবরোধ করেন আহত ব্যক্তিরা। তাঁদের একজন সাব্বির বলেন, আজকে পর্যন্ত তাঁরা পরিস্থিতি দেখবেন। যদি কেউ না আসে, দাবি না মানে, তাহলে আগামীকাল সোমবার তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যাবেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুমেলার সামনে মিরপুর সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আহত ব্যক্তিরা। এতে সড়কের সবদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না-এমন অভিযোগ করে গতকাল রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতর ও পঙ্গু হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহত এই ব্যক্তিরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতেও বিক্ষোভ চলে।
সড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কবির হোসেন। আন্দোলনের সময় তাঁর চোখে গুলি লেগেছিল। কবিরের বাড়ি মিরপুর–১১–তে। তিনি বলছিলেন, তাঁর চোখে সমস্যা আছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালেই ছিলেন। তবে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় গেলেই অসুখ বেড়ে যায়। হাসপাতালে এলে একটা ড্রপ ও ব্যথার ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সুচিকিৎসা দরকার।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যারা বিক্ষোভ করছেন, তাদের কারও এক চোখে আঘাত, আবার কারও দুই চোখেই আঘাত লেগেছে। অনেকের আঘাত গুরুতর। কিন্তু তাঁদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাননি।
আজ বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাস্তার মাঝে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন। রাস্তার মাঝে বেঞ্চ পেতেও বসে আছেন অনেকে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতির; তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এখন হাসপাতালে যারা আছেন, তাঁদের চিকিৎসা ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
তাদের দাবি, এ জন্য সুচিকিৎসা দিতে হবে, প্রয়োজনে বিদেশে পাঠাতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের একজন মো. দুলাল। তিনি হাতে আঘাত পেয়েছিলেন। দুলাল বলেন, তিন মাস আগে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা তিনি পাননি।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের কেউ এখন তাঁদের খোঁজখবর আর নেন না। আন্দোলনে তাঁদের অবদান রয়েছে। সুচিকিৎসার পাশাপাশি তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।
কে