সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করায় উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় একটি প্রাইভেটকারে হামলা করে সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় দুই জন আহত হন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মাওলানা জুবায়ের পন্থির পাঁচ শতাধিক অনুসারী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর মন্নুগেট এলাকায় অবস্থান নেন।
এসব ঘটনায় ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাওলানা বসির (৫০) ও মাওলানা আতাউর (৫২) আহত হয়েছেন। সহকর্মীরা তাঁদেরকে উদ্ধার করে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে। পরে পুলিশের অনুরোধ করলে জুবায়েরের অনুসারী মুসুল্লীরা মহাসড়ক ছেড়ে ইজতেমা মাঠে চলে যায়।
সাদপন্থী অনুসারী মুসুল্লীরা জানান, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর (পাঁচদিন ব্যাপী) পর্যন্ত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমা মাঠে ‘জোড় ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে জোড় ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি চান মাওলানা সাদ কান্ধলভির আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম অংশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জুবায়ের অনুসারীরা তাদের বাধা দিলে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে সাদ অনুসারীরা টঙ্গী পূর্ব থানায় আসেন। পরে পুলিশের সহায়তায় সাদ পন্থীরা ইজতেমা মাঠের দিকে রওনা হয়। আগে থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা মন্নুগেট এলাকায় সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেট কারের সামনের গ্লাস ভাংচুর করলে প্রাইভেটকারে থাকা সাদ অনুসারীদের দুজন মুসুল্লী আহত হন। সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখে।
জুবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাহফুজ হান্নান বলেন, সাদ পন্থি মুসুল্লীরা ময়দানের বিদেশি মেহমানখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তারা জোড় ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি না পেয়ে অবৈধভাবে মাঠে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিল। পরে আমাদের সাথিরা (জুবায়ের অনুসারী) তাঁদের বাধা দেয়।
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের জোড় ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) উপ-পুলিশ কমিশনারের (অপরাধ-দক্ষিণ) কার্যালয়ে যেতে চাচ্ছিলাম। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। আমরা মাঠে প্রবেশ করিনি বা করার ইচ্ছা ছিল না। তারা আমাদের একটি প্রইভেটকারে হামলা করে সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় দুজন মুসুল্লী আহত হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশন (অপরাধ-দক্ষিণ) হাফিজুল ইসলাম বলেন, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ২০১৮ সালে সাদ পন্থীদের হামলার বিচারের দাবি জানান। এ সময় তাঁরা সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেটকারে হামলা করেন।