সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভুল চিকিৎসায় বুয়েটের ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী স্থপতি রাজীব আহমেদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে দোষী চিকিৎসকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পরিবারটি।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন রাজীব আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাই চিকিৎসক আরেফ উদ্দিন আহমেদ।
চিকিৎসক আরেফের অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় বছর যাবত রাজীব শমরিতা হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নতুন ওষুধ সেবন শুরুর ৯ দিনের মাথায় প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে রাজীব ডা. কবীর চৌধুরীর নির্দেশে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হয়। কবীর চৌধুরী শমরিতা হাসপাতালের একজন ডিরেক্টর।
তিনি আরও বলেন, শমরিতায় রাজীবের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাওয়ায় এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না পাওয়ায় এক দিন পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শমরিতায় রাজীবের শিরাপথে ২টি অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্কয়ারে ৮টি অ্যান্টিবায়োটিকসহ মোট ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ফলে বহুবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ৪টি অ্যান্টিবায়োটিক কিডনি সংশ্লিষ্ট বিষক্রিয়াও বোধহয় রাজীব আহমেদের অকাল মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে।
উভয় হাসপাতালেই চিকিৎসা চলাকালীন অব্যবস্থাপনা ছিল এবং কালক্ষেপণ করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শমরিতায় লিভার এনজাইমগুলোর মাত্রা অনেক বেশী থাকার পরও তারা লিভার ফেইল্যুরের ডায়াগনোসিসকে আড়াল করে অন্য ডায়াগনোসিস উল্লেখ করে।
চিকিৎসক আরেফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্কয়ার হাসপাতালে গত শুক্রবার রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার পরেও কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিদর্শনে আসেননি। ডাক্তারদের কাছে রাজীবের অবস্থা জানতে চাইলে ডাক্তাররা বারবার ধৈর্য ধরে বিশ্রামের কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, অথচ রাজীব তখন লিভার ফেইল্যুর থেকে একে একে অন্যান্য অর্গান ফেইল্যুরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এই সম্ভাব্য পরিণতির কোনো আভাসই চিকিৎসকরা রাজীবকে আইসিইউতে নেওয়ার আগে তার পরিবারকে জানাননি।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আরেফ উদ্দিন চিকিৎসার বিস্তারিত তুলে ধরে কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অবেহেলার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
রাজীবের ছোট বোন তানিয়া শবনম বলেন, চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় আমার ভাই মারা গেছেন। আমি চাই দোষীদের বিচার হোক, যাতে আর কোনো সন্তান এভাবে তার বাবাকে না হারায়, কোনো বোন তার ভাইকে না হারায়।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি মাহমুদুল ইসলাম জগলুল বলেন, আমরা আশা করি এ ঘটনার সুবিচার পাব। যদি তা না করা হয় আমরা প্রয়োজনে পথে নেমে আসব। বিএমডিসি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আশা থাকবে তারা সুবিচার করবেন।
ডিপি/