সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। কিন্তু পুরনো টিভি তো অনেক দিন চলল। এবার কি নতুন টিভি কেনার কথা ভাবছেন? প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরও বেশি সুবিধা পেতে অনেকেই কিনছেন স্মার্ট টিভি। আর তাই যারা নতুন করে স্মার্ট টিভি কেনার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য কয়েকটি বিষয় জানা দরকার।
সাইজ: রুম অনুসারে টিভির সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। যে ঘর বা যে রুমে স্মার্ট টিভি রাখা হবে, তা যদি সংকীর্ণ হয় সেক্ষেত্রে টিভি দেখতে কষ্ট হয়ে যাবে। তাই রুম সাইজের ওপর ভিত্তি করে টিভির সাইজ নির্বাচন করতে হবে।
রেজ্যুলুশন: যত বেশি পিক্সেলের টিভি, ছবি তত ভালো। স্মার্ট টিভি সত্যিই স্মার্ট কি না, তা কেনার আগে চেক করা খুব জরুরি। এছাড়া, হাই ডায়নামিক রেঞ্জ মানে এইচডিআর সাপোর্টও টিভির পিকচার কোয়ালিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডিসপ্লে প্রযুক্তি: যেকোনো টেলিভিশনের জন্য এর ডিসপ্লে প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি টিভি কেমন ভিডিও আউটপুট দিবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে এর ডিসপ্লের প্রযুক্তির উপরে। বর্তমান সময়ে টিভির ডিসপ্লেতে যে সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা হলো-
১. এলইডি কিংবা এলসিডি ডিসপ্লের টিভি সবচেয়ে সাধারণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে থাকে। আধুনিক টিভির মধ্যে সর্বপ্রথম প্রথম প্রযুক্তি হচ্ছে এলসিডি এবং পরবর্তীতে টিভিতে এলইডি ব্যাকলিট ব্যবহারের মাধ্যমে এলইডি টিভিতে রূপান্তর করা হয়। এই প্রযুক্তির টিভি সাধারণত এইচডি রেজ্যুলিউশন পর্যন্ত সাপোর্ট করে।
২. এলইডি কিংবা এলসিডি প্রযুক্তি টিভি চেয়ে আরও ভালো প্রযুক্তি হচ্ছে ওলেড প্রযুক্তির টিভি যা বিশ্ব বিখ্যাত ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি দ্বারা নির্মিত। এ ধরনের টিভিতে হাই রেজ্যুলিউশনের ভিডিও প্রদান করতে পারে।
রিফ্রেশ রেট: টিভির রিফ্রেশ রেট একটি প্রয়োজনীয় ফিচার। এটি দ্বারা টিভি প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ফ্রেম প্রদর্শন করতে পারে তার পরিমাণকে বোঝায়। উচ্চতর রিফ্রেশ হার বিশিষ্ট টিভি ক্রয় করা ভালো। ফলে টিভি স্মুথভাবে ভিডিও দেখা যাবে।
হাই ডাইনামিক রেঞ্জ: এইচডিআর এমন একটি টিভির প্রযুক্তি যা টেলিভিশনের ভিডিওকে প্রয়োজনীয় কালারের মাধ্যমে আরও বাস্তবসম্মত এবং প্রাণবন্ত ছবি প্রদান করতে সাহায্য করে। হাই ডাইনামিক রেঞ্জ বিভিন্ন ধরনের ফরমেট রয়েছে।
স্মার্ট টিভি: এখন বাংলাদেশে আধুনিক স্মার্ট টিভি এর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। টিভি স্মার্ট হওয়ার কারণ হচ্ছে যে টেলিভিশনের মাধ্যমে স্ট্রিমিং অ্যাপস অ্যাক্সেস, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।
কানেক্টিভিটি: ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী টিভির সংযোগ দেওয়ার পোর্ট দেখে চেক করে নিশ্চিত হয়ে টিভি ক্রয় করা ভালো। টিভিতে গেমিং কনসোল, সাউন্ডবারের মতো প্রয়োজনীয় ডিভাইস সংযুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত HDMI পোর্ট, USB পোর্ট এবং অন্যান্য ইনপুট পোর্ট আছে কিনা তা দেখে নেওয়াটা জরুরি।
অডিও কোয়ালিটি: প্রত্যেক টিভির সাথে বিল্ট-ইন স্পিকার থাকে না ফলে অডিও শোনার জন্য আলাদাভাবে বাহ্যিক সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন হবে।
ব্র্যান্ড সিলেকশন: বংলাদেশের বাজারে সুপরিচিত এবং স্বনামধন্য অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডটি নির্বাচন করুন। মনে রাখা ভালো যে, আন্তর্জাতিক মানের ব্যান্ড টিভির দাম তুলনামূলক বেশি হয়। তবে লোকাল টিভির দাম একটু কম থাকে।
ইফিসিয়েন্সি: বিল কমাতে এনার্জি স্টার রেটিং সম্পন্ন টিভি নির্বাচন করতে হবে।
বাজেট: টিভি কেনার আগে বাজেট নির্ধারণ করে পরবর্তীতে আপনার বাজেটের নির্ভর করে টিভির ব্যান্ড ও সাইজ সিলেকশন করতে হবে। বাজেট যদি কম হয় তাহলে চায়না টিভি থেকে ভালো মানের টিভি কেনা যাবে।
ওয়ারেন্টি: এত দাম দিয়ে টিভি কিনবেন, আর সঙ্গে ওয়ারেন্টি পাবেন না – ব্যাপারটা বেমানান নয় কি? অথোরাইজড ডিলার থেকে যখনই নতুন টিভি কিনবেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। তাই আপনার নতুন স্মার্ট টিভির সঙ্গে একজন স্মার্ট ইউজার হিসেবে অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করুন।
আরএ