সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
টেলিভিশনে রাজনৈতিক টক শোর লাইভ চলছিল। আর সে সময় দুই দলের দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে দুই নেতা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। খবর: এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিও টিভিতে সম্প্রচারিত টক শোতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ও ইমরান খানের আইনজীবী শের আফজাল খান মারওয়াত ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) দলীয় সিনেটর আফনান উল্লাহ খানের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এক টুইট বার্তায় পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) দলীয় সিনেটর আফনান লেখেন, মারওয়াত প্রথমে আমাকে আক্রমণ করেছেন। আমি সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। তবে এটাও ঠিক যে, আমি নওয়াজ শরিফের সেনা। মারওয়াতকে আমি যে মার দিয়েছি, তা সব পিটিআই নেতাকর্মীর জন্য বিশেষ একটি শিক্ষা। তারা কারও কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। তাদের রাস্তায় বের হতে হলে রোদচশমা পরে বেরোতে হবে।
এক টুইট বার্তায় আফজাল খান মারওয়াত বলেন, অপ্রীতিকর এই ঘটনাকে পুঁজি করে টক শোর উপস্থাপক ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি গুজব ছড়াচ্ছেন আমার প্রতিপক্ষ নাকি অতিমানব। তিনি বাস্তবতাটা তুলে ধরছেন না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, আফনান উল্লাহ স্টুডিও থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে গেছেন এবং পাশের একটি কক্ষে তিনি আশ্রয় নেন। আমি পরে তার অনুষ্ঠান দেখার পর বিষয়টি জানতে পারি।
পাকিস্তানে টক শোতে এমন হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা এটাই প্রথম নয়; আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১ সালে এক টেলিভিশন টক শোতে সাবেক পিপিপি পার্লামেন্ট সদস্য আবদুল কাদির ও তৎকালীন পিটিআই নেতা ফেরদাউস আশিক আয়ানের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। আয়ান পরে ইশতিহকাম-পাকিস্তান পার্টিতে (আইপিপি) যোগ দেন।
জেডএ