সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কোরবানির ঈদ মানেই নানা পদের গরুর মাংস রান্নার আয়োজন। সকাল, দুপুর কিংবা রাত- সব বেলাতেই এর কোন না কোন পদ থাকেই। গরুর মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। একে রেডমিট বা লাল মাংস বলা হয়। গরু, খাসি, উট, দুম্বা, মহিষ বা ভেড়ার মাংসকে রেড মিট বলে। এতে রক্তস্বল্পতা রোধ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধসহ নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তবে অবশ্যই পরিমিত খেতে হবে।
১. গরুর মাংস খাওয়ার সময় ফ্যাট বা চর্বির দিকে খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষ করে যাঁদের ওজন বেশি, ফ্যাটিলিভার, কোলেস্টেরলসহ নানা শারীরিক সমস্যা আছে, তারা চর্বি ছাড়া মাংস খাবেন।
২. গরুর মাংসে আয়রন রয়েছে। তাই এটি খাওয়ার পরপরই চা-কফি খাবেন না। এতে আয়রন শোষণ ব্যাহত হবে।
৩. গরুর মাংস খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান ঠিক নয়। কারণ, গরুর মাংসে ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে। এ কারণে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
৪. খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন কিডনির ক্ষতি ও শরীরে চর্বি বৃদ্ধি করে।
৫. মাংস হজম হতে সময় নেয়। তাই বেশি খেলে পেটফাঁপা, পেটভারী ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এ জন্য মাংস খাওয়ার সময় সালাদ, দই, বোরহানি, ক্যাপসিকাম ও টমেটো খেতে পারেন। মাংস খাওয়ার পর কুসুম গরম পানি খেতে পারেন।
৬. গরুর মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করতে হবে। ভালো সেদ্ধ না হলে এটি সালমোনেলা ও ই কোলি ব্যাকটেরিয়ার কারণ হতে পারে।
৭. দীর্ঘ সময় উচ্চ তাপে মাংস রান্না করলে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা হারায়। আবার উচ্চ তাপে রান্না করলে ভিটামিন বি প্রায় ৪০ শতাংশই নষ্ট হয়।
৮. সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাংস খান, তাঁদের ট্রাইমেথেলামাইন এন-অক্সাইড নামক মেটাবোলাইটের মাত্রা বেশি থাকে। গবেষকেরা এটি হৃদ্রোগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই সপ্তাহে ২ দিন বা ১৫০ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়াই ভালো।
৯. অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কম সেদ্ধ মাংস খাওয়া উচিত নয়। এতে টক্সোপ্লাজমার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত কলিজা খাওয়া ঠিক নয়।
১০. একবারে অনেক মাংস রান্না করে বারবার গরম করে খাবেন না। এতে পুষ্টিগুণ হারাবে।
১. অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদায়ী নারী, প্রচুর শারীরিক পরিশ্রমী, বাড়ন্ত বয়সের ছেলেমেয়ে, বডিবিল্ডার, অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠেছেন—এমন ব্যক্তিরা গড়ে ২০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন।
২. ডায়াবেটিস, ফ্যাটিলিভার, আইবিএসের সমস্যা থাকলে গড়ে ২০০ গ্রামের নিচে মাংস খাবেন।
৩. স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, গলব্লাডার বা কিডনির সমস্যা আছে—এমন ব্যক্তিরা প্রথম ধাপে ১০০ গ্রামের নিচে গরুর মাংস খাবেন।
৪. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ৭০ থেকে ৮০ গ্রামের বেশি খাবেন না।
৫. যাঁদের ওজন বেশি, কোলেস্টেরল খুব বেশি নয়, তাঁরা ১ থেকে ২ টুকরার বেশি মাংস খাবেন না।
৬. এ ছাড়া শারীরিক অবস্থাভেদে পুষ্টিবিদের পরামর্শে গরুর মাংস খাওয়াই ভালো।
এস