দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যারা অফিসে কাজ করেন, তাদের বেশিরভাগেরই দীর্ঘ সময় টানা বসে থাকতে হয়। আপনি কি জানেন, আরামের এই কাজই আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক সময় তিন-চার ঘণ্টাও টানা বসে থাকেন অনেকে। এতে তখন হয়তো কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। কিন্তু, দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে, একটু বয়স বাড়তে শুরু করলেই মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
স্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, একটানা অনেকক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোলন ক্যানস্যার এবং অগ্ন্যাশয়ের সমস্যার মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। এমনকি টানা বসে থাকার এই অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। একই সঙ্গে স্থূলতা এবং ধূমপানের মতো মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করা হৃৎপিণ্ড এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব বিপজ্জনক হতে পারে।
ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা.সুধীর কুমার সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, যদি আপনি প্রতিদিন চার ঘণ্টার বেশি বসে থাকেন এবং কোনো ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ না করেন, তাহলে ধূমপান বা স্থূলতার মতোই আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও লিখেছেন, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার সাথে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচতে ডা. সুধীর বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬০- ৭৫ মিনিট মাঝারি মানের তীব্র শারীরিক কার্যকলাপ (যেমন-দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো) শরীর ফিট রাখতে সহায়তা করে। তিনি প্রতি আধঘণ্টা বা ৪৫ মিনিট টানা বসার পরে ৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে,টানা বসে থাকার সময় আরও কমাতে পারলে ভালো।
ডা. সুধীর আরো বলেন,অবসর সময়ে বসে থাকার কাজ কম করুন। যেমন- টিভি দেখা, মোবাইল ফোন চালানো, অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দেখার সময় সীমিত করুন। ব্যায়াম করতে না পারলে প্রতিদিন অন্তত ৪৫-৬০ মিনিট হাঁটুন। তাহলে, একটানা বসে কাজ করলে শরীরে যে খারাপ প্রভাব পড়ে তা অনেকটা মোকাবিলা করতে পারবেন।
এ ছাড়াও সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের রুটিনে স্বাস্থ্যকর খাবার, যোগব্যায়াম যোগ করুন। এতে স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
এস