সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির অন্যতম দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা সেই তরুণীকে নিরাপদ হেফাজতে নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে খন্দকার মুশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।
এসময় বিচারক আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করে, আপনাকে কোনো ধরনের ভয়ভীতি কেউ দেখিয়েছে কিনা। আইডিয়ালের ছাত্রী বলেন, আমি সৎ জ্ঞানে সেচ্ছায় তাকে (খন্দকার মুশতাক আহমেদকে) বিয়ে করেছি। আমাকে কেউ কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখায়নি।
এদিকে মুশতাকের সঙ্গে বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ওই ছাত্রীর পরিবার। তাদের অভিযোগ, মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন তিনি।
এ অবস্থায় ১ আগস্ট মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন কলেজছাত্রীর বাবা। এতে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।
আরএ