সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় ব্যাংকটির চার কর্মকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
বুধবার (৯ আগস্ট) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। চার কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাছুম।
আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে এই চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
এ চার কর্মকর্তা হলেন-বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন, মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয়ের এজিএম মো. জালাল উদ্দিন, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহমেদ এবং প্রধান কার্যালয়ের এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান।
গত ৩ আগস্ট বেসিক ব্যাংকের এই চার কর্মকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেয় দুদক। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়। গত ১২ জুন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এমন তথ্য জানান।
পরে ৫৯টি মামলার মধ্যে সাদিয়া আক্তার শাহীন ২০ মামলায়, মো. জালাল উদ্দিন ১৮ মামলায়, রুমানা আহাদ ১৩ মামলায় এবং এ এস এম আনিসুর রহমান ১৮ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ২ আগস্ট জামিনের এসব আবেদন শুনানিতে উঠলে হাইকোর্ট এই চার কর্মকর্তাসংশ্লিষ্ট ২০ মামলার অভিযোগপত্র দেখতে চান। পরদিন দুদক তা দাখিল করে। পরে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ আদেশটি স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।
জেবি