সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বিকেল ৩টা ২০ থেকে ৪টা ৫ মিনিট পর্যন্ত রায় পড়া হয়। পরে রায় ঘোষণাকালে বিচারক তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা ছাড়াও তিন কোটি টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
এদিকে তারেক রহমানের জব্দকৃত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে তারেক রহমানের শাশুড়িকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আরএ