সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ডিজিটাল যুগে সাইবার হামলা একটি আতঙ্ক। কয়েক বছর ধরে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে হ্যাকিং ও জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা সুযোগ বুঝে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে। কখনও আবার বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে নামীদামী ওয়েবসাইট পর্যন্ত হ্যাকারের কবলে পড়ার ঘটনা নতুন নয়।
কিন্তু, এবার গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহারকারীরা হ্যাকারদের টার্গেটে রয়েছেন।
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি রিজনল্যাবসে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হ্যাকাররা সহজেই এক্সটেনশন ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে সেভ করা স্পর্শকাতর ডেটা, ব্যাংকিং ডিটেইলস এবং পাসওয়ার্ড চুরি করতে সক্ষম।
এ ছাড়া ম্যালওয়্যারযুক্ত ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলো ২০২১ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে। বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত এর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফট এজ ব্যবহারকারী।
রিপোর্টে বলা হয়, এই এক্সটেনশনগুলো ছোট সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কাজ করে। আর হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার এক্সটেনশনগুলো আসল টুলের মতো দেখতে। ফলে ব্যবহারকারীরা কোনো কিছু না ভেবেই এগুলো ইনস্টল করেন। আর একবার ইনস্টল হয়ে গেলে, এই এক্সটেনশনগুলো সিস্টেমের সংবেদনশীল ডেটার পাশাপাশি পাসওয়ার্ড, ব্রাউজিং হিস্ট্রি এবং ব্যাংকের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে দেয়।
তবে চিন্তার বিষয় হলো, এক্সটেনশন ডিলিট করার পরও ম্যালওয়্যার কম্পিউটারে লুকিয়ে থাকে এবং সিস্টেম চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সক্রিয় হয়ে যায়। আর এই ফাঁদে ব্যবহারকারীদের ফেলতে হ্যাকাররা ম্যালভার্টাইজিং (ম্যালওয়্যার+বিজ্ঞাপন) কৌশল ব্যবহার করেন।
কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যার আছে কি না, তা জানার পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক:
আপনার কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যার আছে কি না তা চেক করে দেখতে পারেন। যদি আপনার সিস্টেম এই ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে আপনার স্ক্রিন গুগল ক্রোম এবং এজ থেকে রিডাইরেক্ট হয়ে হ্যাকারের সার্চ পোর্টালে চলে যাবে। এছাড়া সিস্টেম ফোল্ডারে থাকা ফাইলগুলো চেক করেও এই ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে পারবেন।
রিজনল্যাবসের মতে, এই ম্যালওয়্যারের এক্সটেনশন সরাতে ব্যবহারকারীদের প্রথমে নির্ধারিত এক্সটেনশন সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রি কি-গুলো ডিলিট করে এই ম্যালওয়্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এস