সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ইদানিং বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে। এ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ করছেন গ্রাহক ও ব্যবহারকারীরা। প্রতি মাসে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিলের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সামাজিক মাধ্যমেও এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। তবে এক্ষেত্রে আপনি নিজে কতটা সতর্কতা অবলম্বন করেছেন সেটিও দেখার বিষয়। যদি না করে থাকেন তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। ফলে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনা সম্ভব।
এক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। তাহলে চলুন সেসব কী কী জেনে নেওয়া যাক:
বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি যেমন―ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, রুম হিটার, রাইস কুকার, এসিসহ অন্যান্য ব্যবহারের জিনিস নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। এতে যেমন বিদ্যুৎ বেশি খরচের কারণ জানা যায়, একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এসব পণ্যে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি থাকলে বিল বেশি আসা স্বাভাবিক।
যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার শেষে তার প্লাগ সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজন শেষ হওয়ার পরও গেজেটগুলো স্ট্যান্ড বাই মোডে রাখা হয়। আবার কোনো বাতি, ফ্যান, টেলিভিশন ও কম্পিউটারের প্লাগ লাগানো থাকে। এতে বিদ্যুতের খরচ হয়। এদিকে যদি নজর না দিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই সতর্ক হোন।
বিল কমানোর কার্যকর উপায় হচ্ছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেকট্রনিক পণ ব্যবহার করা। পুরনো বাতি বদলে এলইডি বাতি ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হয় কম। রেফ্রিজারেটর ও এসির মেশিন ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহার করুন। আয়রন মেশিন কেনার আগে স্বয়ংক্রিয় পাওয়ার সিস্টেম থাকা পণ্যটি নিন। এতে প্রয়োজনের বাইরে যন্ত্রটি বিদ্যুৎ নেবে না এবং আপনার খরচও কমে আসবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কয়েক দিন পরপর মিটার পরীক্ষা করা উচিত। এক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বিদ্যুতের ইউনিট বেশি পরিমাণে খরচ হয়, তাহলে সতর্ক হোন। পাশাপাশি বিষয়টি বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করুন।
বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ থাকা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। এতে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ স্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খরচ কিছুটা বেশি হবে। তবে এতে দীর্ঘমেয়াদি সুফল উপভোগ করতে পারবেন। আবার লোডশেডিংয়েরও ভাবনা নেই। ফ্যান, রেফ্রিজারেটর, এসি, কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ প্রয়োজনীয় সবই ব্যবহার করতে পারবেন সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। এতে আপনার বাড়ির বিদ্যুতের বিল অনেক অংশে কমে আসবে।
এস