সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিশ্বের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ইনস্টাগ্রাম। এর রিলস বা স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও এখন বেশ জনপ্রিয়। তাই বর্তমানে নির্মাতারা রিলস পোস্ট করার প্রতি ঝুঁকেছেন। আবার অনেকে নতুন করে নির্মাতা হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। তবে ভিডিও করার পর তা সুন্দর করে অন্যের সামনে উপস্থাপনের জন্য নিখুঁতভাবে ভিডিও সম্পাদনা করতে হয়। এ জন্য ভালো মানের ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করা জরুরি। তাহলে চলুন সেরকমই কয়েকটি অ্যাপের নাম জেনে নেওয়া যাক:
ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে রিলস ভিডিও এডিটি করা যায়। ফলে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের এ টুলটি ব্যবহার করে একটি রিলস ভিডিও এডিট করার সব প্রাথমিক কাজ করা সম্ভব। এমনকি ইনস্টাগ্রামের এই রিলস এডিটরে ফিল্টার ও ইফেক্টের জন্য লাইব্রেরিও রয়েছে। বিনামূল্যে টুলটি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিনা মূল্যে ব্যবহার না করলে অন্য অ্যাপের মতো বিজ্ঞাপন দেখার ঝামেলাও নেই।
প্রাথমিক ও পেশাদার—দুই ধরনের ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব ইনশট অ্যাপের সাহায্যে। এমনকি ভিডিও ট্রিম করা, ভিডিওর গতি নিয়ন্ত্রণ, স্লাইড শো বানানো, বিভিন্ন রঙের ইফেক্ট ব্যবহার ছাড়াও এডিটিং-সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজও করা যায়। অ্যাপটি বিনামূল্যে এবং অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারের সুযোগ মিলে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই ভিএন অ্যাপটি ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করা যায়। এতে অনেক কাস্টমাইজেশন টুল রয়েছে। এ অ্যাপ ভিডিও থেকে কোনো উপাদান মুছে ফেলতে ও যোগ করতে ব্যবহার করা যাবে।
অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এ সফটওয়্যার সাধারণত পেশাদার ভিডিও তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশ ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনেও স্বচ্ছন্দে দ্রুত ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব। অ্যাপটি দিয়ে ভিডিওর গতি বাড়ানো বা কমানোর পাশাপাশি ক্লিপ যুক্ত, গ্রাফিকসের কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন শব্দও যোগ করা যায়। অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় অ্যাপটি। তবে বিনামূল্যের সংস্করণে অ্যাপটির সব সুবিধা পাওয়া যায় না।
কাইনমাস্টার অ্যাপে আগে থেকেই তৈরি করা বিভিন্ন টেমপ্লেট পাওয়া যায়। ফলে এগুলো ব্যবহার করে সহজে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক এবং ভ্লগের উপযোগী ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। এতে ভিডিওর পটভূমি মুছে ফেলা, কণ্ঠ সম্পাদনা, ইফেক্ট যোগ করা ও ভিডিও রিভার্স করার সুবিধাও পাওয়া যায়। কাইন ক্লাউড ব্যবহার করে নিবন্ধিত গ্রাহকেরা ১০ গিগাবাইট পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করে, সেগুলো অন্য যন্ত্র থেকে এডিটিংয়ের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই অ্যাপটিও বিনামূল্যে ও অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা যায়।
এস