সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে। পশ্চিমারা দূরে ঠেলে দেওয়ার পর বিশ্বের অন্যতম ‘বিচ্ছিন্ন দেশে’ পরিণত হয় উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে, গত বছর ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমাদের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে চাপে পড়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে এখন সম্পর্কোন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। এর কয়েক দিনের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে চিঠি লিখেছেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
খবর: রয়টার্সের।
১৯৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে উত্তর কোরিয়া। স্বাধীনতার ৭৮ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) পুতিনকে চিঠিটি লেখেন কিম। এতে তিনি লিখেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ওপর বিজয়ের মাধ্যমে আর এই বন্ধুত্ব এখন পূর্ণভাবে তার অজেয়তা এবং শক্তি প্রদর্শন করছে সাম্রাজ্যবাদীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে।
চিঠিতে কিম আরও লিখেছেন, আমি শক্তিশালীভাবে বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্ব এবং সংহতি একটি দার্ঘস্থায়ী নতুন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলায় একটি কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হবে। দুই দেশ সব সময় বিজয়ী হবে এবং একে অপরকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। ফিরতি চিঠিতে পুতিন কিমের কাছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন।
পুতিন বলেন, আমি নিশ্চিত যে আমরা দুই দেশের জনগণের মঙ্গল এবং কোরীয় উপদ্বীপ ও সমগ্র উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দৃঢ় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করব।
এদিকে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অসমর্থিত সূত্র বলছে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। এখন তাদের মধ্যে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ দুই দেশের মধ্যে যদি এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়ে থাকে তাহলে এরমাধ্যমে জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি রেজ্যুলেশন ভঙ্গ হবে।
জেডএ