সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মিয়ানমারে বন্যা ও ভূমিধসে ৫ জন নিহত হয়েছেন। ভারি বৃষ্টির পর দেশটিতে এই বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে শনিবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এ প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৪০ হাজার মানুষকে কর্তৃপক্ষ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির রাখাইন প্রদেশের ভিডিও ফুটেজে সেখানকার গ্রাম ও কৃষিজমির বিশাল এলাকাকে ঘোলা তথা হলুদ-বাদামী পানিতে নিমজ্জিত থাকতে দেখা গেছে। মিয়ানমারের এই প্রদেশটি গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোচার আঘাতেও কার্যত বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এএফপি বলছে, মিয়ানমার প্রতি বছর এই সময়ে ভারি বৃষ্টিপাতের শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সারা বিশ্বই চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনাগুলো আরও খারাপভাবে দেখা দিয়েছে।
ভারি বৃষ্টির পর ইয়াঙ্গুনের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাগোতে কিছু বাসিন্দাকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও দ্রুত ক্রমবর্ধমান পানির মধ্যে আটকা পড়েন অনেক মানুষ।
বাগোর বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী সোয়ে মিন অং এএফপিকে বলেছেন, বাগোতে প্রতি বছর বন্যা হয়। তবে এবারের বন্যা সবচেয়ে খারাপ। সাধারণত বর্ষাকালে পানি হাঁটু বা উরু পর্যন্ত থাকে। তবে এবার অবস্থা বেগতিক হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু পরিবার একটি মঠে চলে গেলেও অন্যরা এখানে থেকে গিয়েছিল। কারণ তারা ভাবেনি যে, পানি খুব বেশি হতে পারে। এমনকি কিছু এলাকায় পানির স্তর আমার উচ্চতার দুই গুণ বেশি।
৬৬ বছর বয়সী মিন থাও বলেন, তার দোতলা বাড়ির নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে এবং তার পরিবার এখন উপরের তলায় থাকছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাগোতে সাত-আট বছরের মধ্যে এটিই প্রথম প্রবল বন্যার ঘটনা।
এদিকে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক লে শোয়ে জিনও বলেছেন, বন্যা ও ভূমিধসে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং শুক্রবার সারা দেশে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরএ