সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের এক বৃদ্ধা তার মেয়ের বিয়ের জন্য তিল তিল করে রুপি জমিয়েছিলেন। সেই রুপি যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য ব্যাংকের লকারে রেখে এসেছিলেন সেগুলো। মোট ১৮ লাখ টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই রুপি খেয়ে ফেলল উইপোকায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বৃদ্ধার নাম অলকা পাঠক। তিনি তার সারা জীবনের সঞ্চয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রেখে এসেছিলেন গত বছরের অক্টোবরে। রুপির সঙ্গে গয়নাও রেখেছিলেন ব্যাংকের লকারে।
বৃদ্ধা নিশ্চিন্ত ছিলেন, সময়মতো ওই রুপি এবং গয়না তিনি ব্যাংক থেকে নিয়ে আসবেন। যেহেতু এক বছর হয়ে গিয়েছিল, তাই ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কেওয়াইসি আপডেট করাতে হতো ওই বৃদ্ধাকে। আর সেই কেওয়াইসি আপডেট করানোর জন্য তাকে ব্যাংক থেকে ডেকে পাঠানো হয়।
সোমবার ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা দিতে গিয়েছিলেন অলকা। কেওয়াইসি জমা দেওয়ার পর নিজের গচ্ছিত সম্পদ ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য লকার খোলেন। কিন্তু এ কী! বান্ডিল বান্ডিল রুপি উধাও! লকারের ভেতর কিলবিল করছে উইপোকা। তার আর বুঝতে বাকি থাকেনি, কী সর্বনাশ হয়ে গেছে। আর সেই সর্বনাশের মূলে কে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।
অলকা জানিয়েছেন, বড় কন্যার বিয়ের সময় বেশ কিছু রুপি পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ছোট একটা ব্যবসা চালান। সেখান থেকে অর্জিত রুপিও ছোট কন্যার বিয়ের জন্য জমাচ্ছিলেন। মোট ১৮ লাখ রুপি নগদ জমিয়েছিলেন অলকা। তারপর সেই রুপি এবং কিছু গয়না গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংকের লকারে রেখে আসেন।
অলকার দাবি, লকারে যে রুপি রাখা যায় না, সেটা তিনি জানতেন না। ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
জেডএ