সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি ৬২ বছর বয়সী প্রিগোশিনের। বিমানে আরোহীদের তালিকায় প্রিগোশিনের নাম ছিল বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ভাগনার সংশ্লিষ্ট একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে, মস্কোর দক্ষিণে বিমান বাহিনীর গোলায় ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়, মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ইতোমধ্যে মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটি অন্তত আধাঘণ্টা আকাশে অবস্থান করছিল।
প্রসঙ্গত, পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রিগোশিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে গত ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।
প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন।
সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোশিনসহ ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের পর ভাগনার সেনারা বেলারুশে চলে যান। তবে ভাগনার প্রধান প্রিগোশিনের প্রকৃত অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা রয়ে যায়।
জেডএ/এইউ