সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা এ বছরে বেশি। তবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলছেন, এডিস মশা নির্মূল ও রোগী ব্যবস্থাপনায় জনস্বাস্থ্যের পরামর্শ উপেক্ষিত হচ্ছে। শুরু থেকেই রয়েছে সমন্বিত উদ্যোগের ঘাটতি।
ডেঙ্গু নিয়ে সামনে আরেকটা বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে বলে জানিয়ে তারা বলেন, আগে এই রোগটিকে শহুরে রোগ বলা হলেও ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে রোগী বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বাইরেও। শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও। গত মোট ৬২ হাজার ৩৮২ ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগী ছিল ২৩ হাজার ১৬২ জন। এর বাইরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে যা ছিল ১৫৩৫২ জন। এ বছরও ঢাকা শহর ও ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৮৮ জনই ঢাকার বাইরের। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০১ জন রোগী। এ নিয়ে এই বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৭১৬ জনে।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার অন্য বছরের তুলনায় বেশি। আর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং মারা গেছেন শক সিনড্রোমে। বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক এক থেকে শূন্য দশমিক দুই শতাংশের মধ্যে। এবার সেই হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এ বছর মোট মৃত্যুর ৬৪ শতাংশ নারী এবং ৩৬ শতাংশ পুরুষ। তবে আক্রান্ত বেশি পুরুষ, ৫৫ শতাংশ। শিশু আক্রান্তের হার ২১ শতাংশ।
এফএইচ