সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। বয়স মানছে না এ রোগ। এখন তরুণরা বেশি মারা যাচ্ছেন এ রোগে। অনেক সময় হৃদরোগ হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। বুকে কোনো ধরণের ব্যথা ছাড়াই হৃদরোগ হতে পারে।
আসুন বিস্তারিত জেনে নেই-
* হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে- হার্ট অ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
* হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা করা যাবে না।
* একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তা-ও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি আচমকা কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।
* অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারী ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
* শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের ওপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
** হৃদপিণ্ডের কোনো শিরায় যখন রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ এগুলোই মূলত হৃদরোগের কারণ।
জেডএ