দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে আন্দোলন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান।
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত পুরো দেশ। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বর্তমানে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে সাধারণ মানুষ নেমে পড়েছে রাস্তায়, বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। সঙ্গে নিন্দার ঝড় বইছে ইন্টারনেটেও।
এই মুহূর্তে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৮ বছরের সেই শিশু। এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে শিশুটির অচেতন অবতার। এমন মর্মান্তিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে দাগ কেটেছে। যেখানে বাদ যায়নি বিনোদন অঙ্গনও। দেশের সাধারণের পাশাপাশি তারকারাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ঢাকাই মেগাস্টার শাকিব খানও।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট বিচার চাইলেন সেই ভুক্তভোগী শিশুটির জন্য। হ্যাশট্যাগে শিশুটির নাম উল্লেখ করে শাকিব খান লেখেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। মেগাস্টারের কাছ থেকে এমন প্রতিবাদ পেয়ে অনুরাগীরাও বেশ খুশি। তবে দেশে এ ধরনের ঘটনার দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
শাকিবের করা পোস্টের মন্তব্য ঘরে তার অনুরাগীদের অধিকাংশই এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন; সঙ্গে প্রতিবাদও জানান কঠোর ভাষায়। তাদের মধ্যে একজন নেটিজেন লিখেছেন, থামিয়ে দাও নারীর প্রতি নোংরা লোভের থাবা। একদিন তুমিও হবে কোনো এক নারীর বাবা!
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন আট বছরের শিশু আছিয়া। মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর শনিবার শিশুটির মা থানায় মামলা দায়ের করেন; সেখানে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়।
গত শনিবার ৮ মার্চ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে এই মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
/অ