হুমকি দিয়ে কটাক্ষের শিকার তিশা!

অভিনেত্রী সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েকের মাদককাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। এই বিষয়ে নাম জড়িয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন তিনি।

গেল ১৭ অক্টোবর ডিএনসির সহকারী পরিচালক রাহুল সেনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি, কুসসহ বেশ কিছু মাদকসহ গ্রেপ্তার করেন নথসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে। ঘটনার রহস্যের জন্ম ঠিক তখনই। দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ে মেলে দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের সংবাদে ভাইরাল সেই স্কীনর্শটগুলো।

তবে এরইমাঝে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যে কর্মকর্তার তদন্তের জালে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছিল তাকে রহস্যজনকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার রহস্য এখানেই শেষ নয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যে চতুরমুখী চাপে রয়েছে বাহিনীটি। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনায় এক উপদেষ্টার স্ত্রীর হুমকিও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। বলছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা।

সেসময় হুমকি দেওয়া ম্যাসেজের বেশ কিছু ছবি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে তিশার ফোন নম্বর পর্যন্ত দেওয়া ছিল। তখন অনেকেই বলছে এটি ভুয়া আবার কেউ বলছে সত্যি।

তবে বছরের প্রথম দিনে নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রযোজিত সিনেমা '৮৪০' তথা 'ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড' নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। আর সে সময়ই তিশা জানান তার ফোন নম্বরটি কেউ পাবলিক করে দিয়েছেন।

এমন ঘটনা মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দিলেও অনেকটাই নিরব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

তবে হোয়াটসঅ্যাপ আর স্ন্যাপচ্যাটের তথ্যের সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসছে আরো অনেকের নাম। যেখানে ফেঁসে যেতে পারে কয়েকজন অভিনেতাও। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অপারেশন বিভাগের পরিচালক তানভীর মমতাজ জানান, এরই মধ্যে আরও বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছেন তারা। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে নাম বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় এসব অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় নেটিজেনদের মাঝে। তাদের প্রশ্ন, তদন্ত শেষ কবে হবে? আর জড়িতদের আওতায় কবে আনা হবে?

এফএইচ/