সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষে সরব ছিলেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে তিনি যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সেটি চোখে পড়ার মতো। এখনও থেমে নেই এ নির্মাতা। এবার দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সচিত্র প্রকাশ করলেন সবার সামনে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি এর আগেও অনেকবার লিখেছিলাম যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন “সময়” থেকে পুরাপুরি বিচ্ছিন্ন।
আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে খেলতে খেলতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, এবং শর্ট ফিল্ম ফোরাম নতুন প্রজন্মের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।’
তিনি হিটলারের সময় উল্লেখ করে লেখেন, ‘একবার ভাবেন, হিটলারের আমলে কোনো শিল্পী হিটলারের মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রতিবাদতো দূরের কথা তার গাছের গোড়ায় পানি ঢাললে তাকে ইতিহাস কি হিসেবে বিচার করতো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হতে পারেন, বিএনপি সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু শিল্পী হলে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, গুমের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে পারেন না, ফ্যাসিজমের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করতে পারেন না। এবার আপনারা গত ষোলো বছর এই তিনটা সংগঠনের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ভূমিকা কি ছিলো সেটা ভেবে দেখেন। তার মানে কি এইসব ফুট সোলজারদের আঘাত করতে হবে? বিপ্লবের পক্ষের ভাই-বোনদের অসন্তুষ্টির আশংকা মাথায় নিয়েও বলবো- আমি ব্যক্তিগতভাবে এর বিরুদ্ধে।’
ফারুকী লেখেন,‘পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই, খুনীর-লুটপাটকারীর বিচার শুরু হয় নাই, কিন্তু নানা জায়গায় উস্কানি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা খুনির ফোনালাপ শোনেন। দেখেন সে অনুতপ্ত নাকি আরও খুন করার উস্কানি দিচ্ছে।’
তিনি লেখেন, ‘বিপ্লবের পরে কুলিং পিরিয়ডটা পার হতে দিতে হয়। নাহলে এই অবস্থায় আমি লিবারাল ক্রিটিকের স্পেস কিভাবে আশা করবো? এর উত্তর আমি জানি না।’
আরএ