সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরাসি রোমান্সকর সিনেমা ‘ইমানুয়েল’-এ মাত্র সতের বছর বয়সে হাজির হয়ে তারকা খ্যাতি লাভ করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্রিস্টিন বোইসন মারা গেছেন। গত ২১ অক্টোবর মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৬৮ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেত্রীর।
তারকাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা ডেডলাইন এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টিন বোইসনের মৃত্যুর বিষয়টি। তবে কেন কিংবা কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তার, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে ২০১০ সালে একবার ব্যক্তিজীবন নিয়ে শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন এ ফরাসি তারকা। তখন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছিল, পঞ্চম তলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে উদ্ধারকর্মীরা তাকে বাধা দিয়ে রক্ষা করেছিলেন।
এ ব্যাপারে ক্রিস্টিন বোইসন সেলিব্রিটি ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সঙ্গীর সঙ্গে তর্কজনিত কারণে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তবে বাস্তবে এমনটা করার চেষ্টা করেননি। এটি ছিল তার কেবলই কৌশল, যা মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলেন এ অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারে অভিষেকের সিনেমাটিই সাফল্য এনে দিয়েছিল ক্রিস্টিন বোইসনকে। সবে স্কুল ছাড়া এক নাবালিকাকে রোমান্সকর যৌন দুঃসাহসিক চরিত্রে ‘ইমানুয়েল’ সিনেমার জন্য ঠিক করেছিলেন নির্মাতা জাস্ট জ্যাকিন। এতে একজন স্বাধীনতাকামী চরিত্রে দেখা গেছে ক্রিস্টিন বোইসনকে।
শারীরিক গঠন অনুযায়ী ছোট ছোট কিছু চরিত্রে অভিনয়ের পর ফের পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে স্কুলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরবর্তীতে ফ্রান্সের খ্যাতিমান কনজারভেটোয়ারে অভিনয়ের ওপর পড়ালেখা করেন।
তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করার পর ফের অভিনয়ে ফিরেন তিনি। তবে এবার যৌন কিংবা দুঃসাহসিক চরিত্রে অভিনয়ে ফিরেননি। যেসব চরিত্রে তার শরীরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেসব প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ক্রিস্টিন বোইসন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাইকেল অ্যান্তোনিওনির ‘আইডেন্টিফিকেশন অব এ ওম্যান’ (১৯৮৪), ড্যানিয়েল স্মিডের ‘জেনাটস’ (১৯৮৭), জ্যাক ব্রালের ‘এক্সটেরিয়র’, ‘নাইট’, ইভেস বোইসেটের ‘রেডিও রেভ’ (১৯৮৯), অলিভিয়ার অ্যাসায়াসের ‘এ নিউ লাইফ’ (১৯৯৩), পিটার ক্যাসোভিটসের ‘বনজোর ট্রিস্টেস’ (১৯৯৫), মায়েনওয়েনের ‘অল অ্যাবাউটন অ্যাক্ট্রেসেস’ (২০০৯) এবং এরিক ভ্যালেটের ‘স্টেট অ্যাফেয়ার্স) (২০০৯)।
একই সময়ে এই অভিনেত্রী নিজেকে থিয়েটারের জন্য প্রস্তুত করেন এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়র, টেনেসি উইলিয়ামস ও ইউজিন আইওনেস্কোর লেখা বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন ক্রিস্টিন বোইসন।
কে