সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত অভিনয়শিল্পীদের একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে কেউ কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করছেন। অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান, ঢালাও ভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।
পোস্টে এ অভিনেতা লিখেন, হোয়াটসঅ্যাপ ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে অ্যাড হওয়া প্রসঙ্গে আমার কিছু কথা, একটা গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে ফোন নম্বর থাকলেই তিনি সেই গ্রুপে যাকে খুশি যতজন খুশি অ্যাড করতে পারেন। অনেক গ্রুপ আছে সেখান থেকে চাইলেও কেউ বের হতে পারে না। যদি এডমিন তাকে ডিলিট না করে। আলো আসবেই গ্রুপে আমি কখনো প্রবেশ করিনি বা কে কি লিখছে আমি যদি ওখানে না দেখি আমি কি করে জানব ওখানে কি লিখছে। ঢালাও ভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।’
পোস্ট দেওয়ার পর তোপের মুখে পরেছেন এ অভিনেতা। কমেন্ট বক্সে অনেকেউ সরাসরি তাকে আঘাত করে কথা বলছেন।
লুৎফর হাসান নামে একজন লিখেছেন- ভাই, আপনাকে এরকম একটা গ্রুপে কেউ এড করেছে, আপনি দেখলেন সেখানে গণহত্যার প্ল্যান। তো, গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন না কেন?
নাজমুল আহসানের ভাষ্য, ‘অনেক বেশি কষ্ট পেলাম পিও, আপনার একটি কথা মনে পড়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে যে কোনো ছবি নাটকে অভিনয় করা সম্ভব না।’
আশিক আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনাদের হাতে বাচ্চাগুলোর রক্ত লেগে আছে দেখেন ভালো করে। হাসিনা যখন গণহত্যায় মেতে উঠলো তখন আপনারাও তার সঙ্গী হলেন! খুব সম্মানের ছিলেন আপনি এখন আপনাদের ঘৃণা করতেও ঘেন্না লাগে। হাজারের উপরে শহিদ হয়ে যাওয়া সন্তান হারানো সব মায়ের অভিশাপগুলো নেমে আসবে আপনাদের উপর ইনশাআল্লাহ।’
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে সবাইকে গ্রুপে অ্যাড করা হয়। যারা মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে হয়েছে।
গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
কে