সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চলমান সময়ে ঢালিউড সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নাম পরীমনি। পরীমনি মূলত গ্রামের একজন মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর সেখানেই জন্ম পরীর। গ্রাম থেকে উঠে এসেই ঢাকাই সিনেমায় স্থান করে নিয়েছেন এই নায়িকা। উপহার দিয়েছেন অনেক ভালো ভালো সিনেমা। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই নায়িকা তকমা পেয়েছিলেন তিনি।
এই নায়িকা অর্থাৎ পরীমনির আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালে ঢাকায় আসেন। মডেলিং দিয়ে শুরু করেছিলেন যাত্রা। মিডিয়ায় আসার আগেই বিয়ে হয় তার।
পরীমনির প্রেম ও বিয়ে -
মাসুদ নামের এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রথম প্রেম ও পরে বিয়ে হয় পরীমনির। নানার বাড়ি বরিশাল থেকে মাসুদের সঙ্গে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান। ১ মাস পর আবারও বরিশালে ফিরে আসেন। এরপর বিচ্ছেদ হয় মাসুদের সঙ্গে।
২০১৪ সালে পরীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রযোজক (কথিত) নজরুল ইসলাম রাজের। এরপর থেকে রাজের সঙ্গী ছিলেন তিনি। শোনা যায় একসঙ্গে থাকতেন তারা।
২০১৬ সালের একটি ফেসবুক আইডি থেকে কিছু ছবি শেয়ার দিয়ে বলা হয়, পরীমনি ইসমাইল নামে একজনের স্ত্রী। ইসমাইলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। এরপর ফেসবুকে পাওয়া যায় সৌরভ কবীর নামের আরও একজনের সঙ্গে তার বিয়ের কাবিননামা- ঘনিষ্ঠ ছবি। শোনা যায় নাটকে অভিনয় করার সময় সেতু নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সংসারও করেছিলেন কিছুদিন।
২০১৭ সালে তামিম হাসান নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বাগদানও হয়েছিল। দুই বছর প্রেমের পর ২০১৯ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়।
২০২০ সালের ৯ মার্চ কামরুজ্জামান রনি নামে একজনকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। ৫ মাসের মাথায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়।
এরপর সাকলায়েন নামে ডিবির এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। বলা হয় তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরীমনির ঘনিষ্ঠতায় পদ হারিয়েছিলেন তিনি।
সর্বশেষ চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রাজকে বিয়ে করেন। সে বিয়েও শেষ পর্যন্ত টিকল না। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডির্ভোসের কথা জানান পরীমনি। যদিও রাজ এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি।
কিছু কথা- ২০০৭ সালে পরীমনির মা আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। মায়ের মৃত্যুর পর বাবার সঙ্গে সাভারে বসবাস শুরু করেন পরীমনি। ২০১২ সালে সিলেটে তার বাবার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষ তাকে খুন করেছে বলে জানা গেছে। বাবার মৃত্যুর পর পরীমনি সাভারে তার এক খালার বাসায় আশ্রয় নেন।
জেডএ