সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিয়ের পর থেকেই বিচ্ছেদের গুঞ্জন সামনে এসেছে বারবার। ঘুরে ফিরে এক ছাদের নিচে বসবাসের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেলো তারকা দম্পতি পরী মণি ও শরিফুল রাজে সংসার।
দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিলেন পরী মণি। রাজের সঙ্গে সম্পর্কের যবানিকাপাত যে পরী টানতে চাচ্ছিলেন, সেটি আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে রাজ-পরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মূলত একটা সম্পর্ক টেকসই হওয়ার জন্য যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস দরকার, সেটি তাদের ক্ষেত্রে ছিল না। সন্দেহপ্রবণতা ও কমিটমেন্টের অভাব ছিল লক্ষণীয়। এ কারণেই মূলত তাদের বন্ধন আলগা হয়ে গেলো।
রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ হিসাবে মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া, মানসিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন পরী মণি।
এ বছর মে মাসে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে শরিফুল রাজের বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে পরীর সঙ্গে দাম্পত্যকলহ শুরু হয় রাজের। ওই ঘটনার পর থেকে তারা আলাদা থাকছেন।
তবে ছেলে রাজ্যের জন্মদিনে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। পরীর বাসায়ও এসেছিলেন রাজ। পরে আবার বেরিয়ে গেছেন।
আগে থেকেই পরীর অভিযোগ ছিল যে, রাজ অগোছালো, সংসারের প্রতি তার কোনো প্রতিজ্ঞা নেই। পরীর প্রতি তার আলাদা কোনো টানও নেই। আর রাজের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, পরীর জীবনটাই হেয়ালিতে ভরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর দিন ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে ১০১ টাকা দেনমোহরে রাজ-পরীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।
এম