সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চার এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর তেজঁগাও, বংশাল, লালবাগ ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), মো. হারুন অর রশিদ (৩৭) ও ইমরান হোসাইন (২৯)।
তাদের কাছ থেকে ১৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮টি সিম, এজেন্ট সিমগুলোতে থাকা সর্বমোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৬ টাকার ই-মানি (ব্যালেন্স) ও নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজাদ রহমান জানান, অনলাইন প্লাটফর্ম বেট উইনার নামক একটি বেটিং সাইট সিআইডির নজরে আসে। যেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয় এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিআইডি জানায়, সুপার অ্যাডমিন কিংবা মাস্টার অ্যাডমিন নামে মূলত রাশিয়া থেকে বেট উইনারের ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে দেখভালের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসাবে বিশ্বস্তকে নিয়োগ দেয়। এই চার জনই জুয়ার এজেন্ট।
তিনি আরও জানান, সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডিসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অনলাইন জুয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। এরপর থেকে এই জুয়ার এজেন্টরা টাকা লেনদেনের জন্য মাঝখানে একটা লেয়ার তৈরি করে। এজন্য তারা সরাসরি নিজেরা এজন্টে সিম ব্যবহার না করে কিছু অসাধু এমএফএস এজেন্ট দোকানদারকে টাকা লেনদেনের দায়িত্ব দেয়। কিছু স্টাফের মাধ্যমে ১৪ থেকে ১৫টি এজেন্ট সিম ব্যবহার করে। গ্রেপ্তার চক্রটি ঢাকার তেজগাঁও, পুরান ঢাকা এলাকা ও মিরপুর এলাকায় অবস্থান করে এই জুয়ার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সম্রাট এবং মো. শাহীন রেজা নামে দুই জন বেট উইনারের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে এ ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের মাধ্যমে এই সমস্ত জুয়ার এজেন্টরা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত এমএফএস (এজেন্ট সিম) ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে কনভার্ট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। তারা বেট উইনার ছাড়াও বেট ভিসা নামক আরেকটি জুয়ার সাইটেরও লেনদেন করে থাকে। প্রতি মাসে ১ জন জুয়ার এজেন্ট বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে।
কমিশন বাবদ টাকার একটা অংশ তারা পায় বলেও জানান তিনি।
জেডএ