সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
হারুন অর রশিদের একজন গাড়িচালক। এক এক সময় বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। সেখান থেকেই হারুন কৌশলে পুলিশের কার্যক্রম রপ্ত করেন। এরপর নিজেকে পরিচয় দিতেন সাভার মডেল থানার এএসআই হিসেবে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিতেন টাকা। শুরু করেছিলেন পুলিশ পরিচয়ে নানা প্রতারণা। এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম। এর আগে, রোববার (৬ জুলাই) গভীর রাতে তাকে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার সঠিবাড়ি গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। তিনি গোপনে হেমায়েতপুরের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ভরারী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আসলামের বাড়ি যান প্রতারক হারুন অর রশিদ। তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২-৩ জন। হারুন নিজেকে সাভার মডেল থানার এএসআই পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী আসলামকে জানান, তার নামে সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে চার লাখ টাকায় আসলামের সঙ্গে চুক্তি করেন হারুন।
নগদ টাকা না থাকায় আসলাম ব্র্যাক ব্যাংকের দুটি চেক দেন। পরে হারুনকে নগদ চার লাখ টাকা দিলেও চেক ফেরত দেননি তিনি। এদিকে, গত ৫ আগস্ট হারুন আবারও আসলামের বাড়িতে যান ও আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময়ই ভুয়া এএসআই হারুনের প্রতি সন্দেহ হয় আসলামের। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, হারুন অর রশিদ নামে কোনো এএসআই সাভার মডেল থানায় নেই।
৬ আগস্ট মো. আসলাম এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছ প্রাথমিকভাবে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হারুন। তবে আত্মসাৎ করা ৪ লাখ টাকা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম জানান, আসলাম হোসেনের দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে প্রতারক হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ (সোমবার) ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেডএ