সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজধানীর গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীর সংঘর্ষে নিহত পথচারী হাফেজ রেজাউলের (২১) মৃত্যুর সংবাদ শুনে মা রেনু বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে যান আর বাবা জ্ঞান হারাচ্ছেন বারবার।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।
রেজাউল শেরপুরের নকলা উপজেলার চরঅষ্টাধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে। ঢাকার যাত্রাবাড়িতে একটি মাদরাসায় দাওরা হাদিস বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে নকলা থানা পুলিশ রেজাউলের বাবা-মাকে তার মৃত্যুর খবর দেন এবং ঢাকায় গিয়ে লাশ নিয়ে নিজ বাড়িতে আনার অনুরোধ করেন। হঠাৎ ছেলের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।
স্থানীয়রা জানান, একেবারেই নম্র-ভদ্র সদালাপী রেজাউল কোনোদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তার তিন বোন। ময়মনসিংহ জামিয়া ফয়জুর রহমান মাদরাসা থেকে পড়া শেষ করে তিনি ঢাকায় দাওরা হাদিস বিভাগে ভর্তি হন। তার বাবা আব্দুস সাত্তার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
তার বাবা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি আমার পোলারে যারা মারছে, আপনে তাদের ন্যয্যবিচার করবেন।
চরঅষ্টাধর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা বলেন, রেজাউল সহজ সরল ছিল। সবাই তাকে খুব ভালোবাসতো। কোনোদিন কোনো দলের সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনায় পশ্চিম নারায়ণখোলা গ্রামের রেজাউল মারা গেছেন। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে।
জেডএ