দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার সেজে প্রতারণা করে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেন মো. আবুল কালাম শেখ। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী তাকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেন কালাম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানতে পারে যে সে একজন ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার।
এর আগে রোববার (১৯ মে) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২০ মে) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, বেসরকারি জাহাজের খালাসি হিসেবে কর্মরত কালাম শেখ। সে নিজেকে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিদেশে থাকাকালে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে মুগ্ধ করে দেশে ফিরে নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেন। পরে প্রথম স্ত্রী-সন্তানের কথা বলে তাদের সঙ্গে একসঙ্গে ঘর-সংসার করার জন্য ওই ছাত্রীকে মারধর করাসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম ডিভোর্স দিলে আসামি কালাম শেখ তার সঙ্গে থাকা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী ঢাকার লালবাগ থানায় মামলা করলে সিআইডি মামলার তদন্ত পায়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আবুল কালাম শেখ মোংলা থানার (বাগেরহাট জেলা) আরাজি মাকরঢোন গ্রামের মো. আব্দুস সালাম শেখের ছেলে। তিনি ৮ম শ্রেণি পাস করে সমুদ্রগামী জাহাজে খালাসি হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন। তার দুই সন্তান ও স্ত্রী বর্তমান থাকার পরও ফেসবুকে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভিকটিমকে বিয়ে করে খুলনা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা স্বীকার করে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সংসার করার জন্য ভিকটিমকে চাপ দিতে থাকেন। ভিকটিম আসামির কথায় রাজি না হলে, আসামি ভিকটিমকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। ভিকটিম একপর্যায়ে আসামিকে ডিভোর্স দিয়ে ঢাকায় এসে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। আসামি ভিকটিমের বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে সেই বাসায় গিয়ে ভিকটিমকে মারধর করে শারিরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। ভিকটিম এতে রাজি না হলে আসামির নিকট পূর্ব হতে থাকা দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেন।
ভিকটিম বাদি হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ করলে বিজ্ঞ আদালত লালবাগ থানাকে মামলা রুজু করার আদেশ দেন এবং সিআইডিকে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
কে