সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পুলিশের সোর্স আসিফকে চাকু মেরে হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। তারা হলেন- মো. আলমগীর (৩১) ও মো. রাজিব (২২)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ২০২১ সালে রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আলমগীর ও রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত। তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারাই বাধা দিত, তাদেরকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স নিহত আসিফ আসামি জিন্নাত আলীর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এতে গ্রেপ্তার আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগী ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়। এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে।
র্যাব-৩ অধিনায়ক জানান, আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়া সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র ওঁৎ পেতে থাকা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এ সময় আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় আসিফকে তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান হত্যাকারী জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর র্যাব গ্রেপ্তার করে। পরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আলমগীর এবং রাজিব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন জিন্নাত।
এফএইচ