সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের’ গ্রেপ্তার সদস্যরা অনলাইনে আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় এই যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তাররা হলেন—আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জুলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬), সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)।
তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমসংক্রান্ত ডায়েরি ও নোট বই জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিছেন, তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। সংগঠনে যুক্ত হয়ে তারা দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ ছাড়া সংগঠনের খরচ চালানোর জন্য গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্নভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসতেন বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতেন। তারা বিভিন্ন অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য সদস্যদের উগ্রবাদী করে তুলতেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপে তাদেরর বিচরণ ছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি ডিজিএফআই ও র্যাবের অভিযানে আনসার আল ইসলামের প্রায় ২০ জন সদস্যকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি মূলত কাট অব চেইনের পদ্ধতিতে কাজ করে। গ্রেপ্তার জঙ্গি মেজবাহের সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতা আবু ইমরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করেন।
সেই সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতা ও বরখাস্ত হওয়া মেজর জিয়ার বিষয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি মাদ্রাসায় ২০২০ সালে তাঁর সঙ্গে মেজর জিয়ার দেখা হয়েছিল। এরপর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এফএইচ