সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় একটি সড়কের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে পাঁচ গ্রামের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া সড়কের কাজটি ২০ মাসে শেষ করার কথা থাকলেও চার বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ, ১২ ফুট প্রস্থের এ সড়কটি নির্মাণে ১ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান কুষ্টিয়ার যাকাউল্লা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা তিন দফা সময় বাড়িয়েও কাজটি শেষ করতে পারেনি। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যার ফলে সড়কের দুই পাশের প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া ওই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চাপে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তিনদফা সময় বাড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বোয়ালিয়া গরুর হাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নন্দপাড়া সড়কটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন নন্দপাড়া, বড়িয়া, দাওকাঠি, শ্যামপুর গ্রামসহ পাশের উপজেলা নলছিটির কুসাঙ্গল গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন।
সড়কটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী। রোলার চালিয়ে রাস্তার বিছানো ম্যাটেরিয়াল (বেড) মজবুত করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এ রাস্তা অল্পদিনেই নষ্ট হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চার বছর ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। চার বছরে এই সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই। প্রথম বছর সড়কের মাটি কেটে বেড বানানো হলে বর্ষ মৌসুমে পানি জমে খালে পরিণত হয়েছিল। এরপর ইট আর ইটের আদলা ফেলে রাখা হয়। এখন সড়কটিতে খোয়া ঢেলে রাখা হয়েছে। বর্ষাকালে রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে স্থানীয়দের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
ঠিকাদার আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন বলেন, শুধু কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। কাজের জন্য সব মালামাল মজুত রাখা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। বর্ষাকাল শেষ হলেই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা এএলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের পিচ ঢালাইয়ের জন্য সব মালামাল এনে রেখেছেন। বর্ষার কারণে আমিই তাদের ঢালাই দিতে নিষেধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় নির্মাণ কাজ শেষ করছে না ঠিকাদার এ কথাটি সঠিক নয়। তবে সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদারকে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এটা ঠিক। এবার বর্ষার পরেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
জেবি