সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মোংলার চিলা গ্রামে হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত করা মরদেহটি ব্যবসায়ী মাহে আলমের। বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির মালিবাগ শাখা থেকে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দাকোপ থানার হস্তান্তর করা হিলটন নাথকে চিলা গ্রামে সমাহিত করা হয়। তবে ওই মরদেহ মোংলার সুমন রানা তার বাবা মাহে আলমের দাবি করে গত ২৮ এপ্রিল দাকোপ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে আদালতের নির্দেশে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় ওই মরদেহ হিলটন হিলটনের নয়, সেটি সুমনের বাবা ব্যবসায়ী মাহে আলমের।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে অর্ধগলিত পাওয়া একটি মরদেহ স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল বিকেলে খুলনার দাকোপ থানা পুলিশ সুন্দরবনে নিখোঁজ জেলে হিলটন নাথের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে, ১০ এপ্রিল মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম নিখোঁজ হন। ১৪ এপ্রিল সকালে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা মোংলা থানায় বাবা নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন।
পরবর্তীতে হিলটন নাথ হিসেবে ১৪ এপ্রিল হস্তান্তর করা মরদেহের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সেটি সুমন তার বাবার বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় সুমন ২৮ এপ্রিল দাকোপ থানায় একটি জিডি করেন। এছাড়া হিলটন নাথের মা বিথীকা নাথ দাকোপ থানায় ছেলেকে খুন করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে একটি মামলা।
অন্যদিকে, সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্য আলামত দেখে সুমন রানা মামলা করতে চাইলে মোংলা থানা প্রথমে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীকালে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মোংলা থানা মামলা গ্রহণ করে।
ডিএনএ টেস্টের ফল প্রকাশের পর ব্যবসায়ী মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা বলেন, চিলায় সমাহিত করা মরদেহ হিলটনের নয়, সেটি আমার বাবার; এটা এখন প্রমাণিত। তাই প্রথমে প্রথমত আদালত ও প্রশাসনের মাধ্যমে মরদেহ উত্তোলন করে দ্রুত ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন করতে চাই। সেইসঙ্গে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে মরদেহ গুম করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।
এদিকে, হিলটন নাথের ভাই সাগর নাথ বলেন, ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। আর রিপোর্টের ফলাফলে যদি সমাহিত করা মরদেহ ব্যবসায়ী মাহে আলমের হয় তাহলে আমাদের ভাই হিলটন নাথকে খুঁজে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল ও মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন খুলনার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আদালত ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাহে আলমের ছেলে সুমন রানাকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। হিলটন নাথের মা বিথীকা নাথ ভুল তথ্য দেওয়ায় সেভাবে মামলার প্রতিবেদন দেওয়া হবে। আর মাহে আলমকে পরিকল্পিতভাবে খুন ও মরদেহ গুম করার অভিযোগ থাকলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা করতে হবে।
জেবি