সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুমিল্লার চান্দিনায় ছাড়াগাও এলাকায় স্বামীর সাহায্য নিয়ে নিজের পরকীয়া প্রেমিককে খুন করেছেন এক নারী। প্রেমিককে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ পুকুরে ফেলে দেন তারা। এমনটি দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান।
এর আগে, বুধবার (৯ আগস্ট) কুমিল্লার চান্দিনার উপজেলার ছাড়াগাও এলাকার পুকুর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম আরিফ হোসেন (৪০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সাতগাঁও এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্তরা হলেন, শুক্কুর আলী ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। তাদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শুক্কুর হোসেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছত্রিশ কালিপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে। আর ফাতেমা বেগমের বাড়িও একই থানার গাবুরগাঁও গ্রামে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, দুই বছর ধরে শুক্কুর আলীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আরিফ হোসেন। এরই সুবাদে শুক্কুর আলীর বাড়িতে আরিফের আসা যাওয়া ছিল। এক পর্যায়ে শুক্কুর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে আরিফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ফাতেমা আরিফের বাসায় চলে যান। কিন্তু এক পর্যায়ে ফাতেমা বুঝতে পারেন আরিফ তাকে বিয়ে করবেন না। পরে ফাতেমা আবারও তার স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। প্রেমে প্রতারণার শিকার হাওয়ায় অভিমানে ফাতেমা তার স্বামীর সঙ্গে মিলে আরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ৯ আগস্ট রাতে কৌশলে শুক্কুর আলী আরিফের ঘরে প্রবেশ করেন এবং শাবল দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন।
আরিফের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফাতেমা বালিশ চাপা দিয়ে রাখেন। পরে তারা দুইজন আরিফের লাশ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় নিহত আরিফের বড় ভাই তারিছ আলী বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলা করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোহায়েব, চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ।
জেডএ