সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের বড়াইগ্রামে তমা খাতুন (১৭) নামের এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উপজেলার চৌমুহনীতে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া তমার পরিবারের সদস্যরা আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হলেও তারা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে না থাকে।
নিহত তমা ওই এলাকার তাইদুল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলার দিঘইর কান্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন মোল্লার (২১) স্ত্রী। গত ১৪ জুলাই বিকেলে তমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই দিন রাতেই তমার বাবা মাহবুব হোসেন মোল্লাসহ তিনজন আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে তমা খাতুন ও মাহবুব হোসেন ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করে। প্রথম দিকে দুই পরিবারের বিয়েতে সম্মতি ছিল না। তবে কিছুদিন পর পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়। বিয়ের পর থেকে তমা স্বামীর বাড়িতেই থাকত।
তমার মা গোলাপী বেগম মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিতে থাকে তারা। আমি ঘরে আসবাবপত্র কিনে দিয়েছিলাম। তারপরেও তারা আর নগদ টাকার জন্য চাপ দিত। আমার স্বামী টাকা দিতে না পারায় তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।’
নিহতের বাবা তাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে নাই। আমরা বারবার পুলিশকে জানানোর পরেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। যার ফলে আমরা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশার করছি দ্রুতই আসামদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
জেবি