সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট হিসেবে একটি দোকান চালাতেন আলমগীর হোসেন। পরিবারকে দেওয়ার জন্য আলমগীরের কাছে বিকাশের মাধ্যমে ৮২ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন এক প্রবাসী শ্রমিক। সেই টাকা প্রতারণা করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র। অন্যের টাকা এভাবে খুইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলমগীর হোসেন।
গত রোববার রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভটখালী চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আলমগীর হোসেন চন্দ্রপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। বাগমারা থানা-পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় আলমগীরের পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। এতে লেখা ছিল-‘আমার এই মৃত্যুর জন্য বিকাশ প্রতারক চক্র দায়ী।’
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার গ্রামের দুবাই প্রবাসী শ্রমিক আবদুস সালাম বিকাশের এজেন্ট আলমগীরের কাছে ৮২ হাজার টাকা পাঠান। এ ছাড়া ব্যবসায়িক কারণে তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে আরও টাকা ছিল। সব টাকাই হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এতে আলমগীর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। টাকা হারানোর কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ মরদেহ দিলে সোমবার দাফন করা হয়েছে।
আলমগীরের ভাই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘প্রতারকদের কারণে আমরা আমাদের ভাইকে হারালাম। একটা তাজা প্রাণ চলে গেল। আমরা এই শোক সহ্য করতে পারছি না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, তদন্ত করে যেন বিকাশ প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হয়।’
জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় আলমগীরের বাবা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। বিকাশ প্রতারণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদেরও জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিরকুটও পেয়েছি। আমরা মোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেবি