দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে কথিত সমন্বয়ক হওয়া মিজান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মিজান সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আবু তালেবের ছেলে এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকেই ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলার হুমকিসহ অত্র ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।
পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের হয়রানি স্বীকার হওয়া নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। এতে মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হলে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়কে মামলা করার হুমকি দেন।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রক্টর প্রভা রানী বড়াল বলেন, মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দিলে দেখা যায় সে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এত পর থেকেই তাকে পাশ করানোর জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি যে বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ওই বিষয়ে এই ইন্সটিটিউটের কোন শিক্ষক পরীক্ষা নেয় নি। ওই বিষয় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সাধারণত বাহির থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে চাইনা আমাদের কোন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হোক।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সাজেদা খানম বলেন, মিজান আমাদের অত্র ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ক্লাসে খুব অমনোযোগী ছিল। সে প্রথম বছরে ১ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন ঝামেলা না করলেও এবার অকৃতকার্য হওয়ায় সে বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রতবোধ করছি।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর নিপা মন্ডল বলেন, মিজান প্রথম বছর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অনিয়মিত ছিল। তাকে অনিয়মিত হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বিভিন্ন অজুহাত দিতো।
আশরাফুল ইসলাম নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, মিজান ভাই যে বিষয়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে পরীক্ষা দেওয়ার পরেই সে বলেছিল তার পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। পরীক্ষায় যে কেউ অকৃতকার্য হতেই পারে কিন্তু তার আচরণ খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় বলেন, মিজান ৫ আগষ্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটাতো। এখনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবল সহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়া সহ পাস করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে আমার নামে মিথ্যাচার ও আমাকে মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মিজান রহমান বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করার কথা বলিনি। এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলতে চাই না।
এফএইচ/