দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ভিজিএফ চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে সময় ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সামন্তসার ইউনিয়নের চর সামন্তসার এলাকার ফিরোজ মোল্লার ছেলে কবির হোসেন মাওলানা (৪৮), আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪২), সুরজাত আলী মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা (৫০) ও স্থানীয় ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহানা বেগম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদে ৬০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ'র ১০ কেজি চাল বিতরণ হচ্ছিল। এরমধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালীর পক্ষের লোক উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কবির মাওলানা, সামন্তসার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল মাষ্টার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মাদবর দুস্থ ও অসহায় জন্য ২০০ ভিজিএফ স্লিপ পান। সেই স্লিপের চাল দিতে বাধা দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন নান্টু খান। বাঁধা দিলে এবিষয় নিয়ে দু'পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে নান্টু খান লোকজন নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে কবির , আনোয়ার, জামাল ও রেহানা নামের চারজন আহত হন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খান বলেন, মোবারক ঢালী গোসাইরহাটে উপজেলার। তিনি ও তাঁর লোকজন সামন্তসার ইউনিয়নে এসে কর্তাগিরি করতে চান। আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে মোবারক ঢালীর লোকজনকে ২০০ স্লিপ দেওয়া হয়। এ বিষয় নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে নান্টু খানের সঙ্গে আমার লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। আজ আবার নান্টু খান আমার লোকজনকে চাল দিতে বাঁধা দেয়। আবার আমার লোকজনের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, ভিজিএফ চাল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।