যুবদল নেতাকে পেটাতে গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভিজিএফের চালের কথা জিজ্ঞেস করতেই যুবদলের এক নেতাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে তেড়ে গেলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক চেয়ারম্যান। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ শুরু হয়। হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়েও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ শুরু হয়। স্থানীয় যুবদল নেতা রাজিব হোসেন বাবু ঘটনার সময় চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম হাদীর কাছে ভিজিএফ কার্ড কাকে কাকে দিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চান। পরে চেয়ারম্যান রাজিবকে মারতে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন।

৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজিব হোসেন বাবু ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম হাদীর কাছে জানতে চান, ‘কাকা, ১৬৮০টি কার্ড আপনি কাকে দিয়েছেন?’ তখন চেয়ারম্যান হাদী বলেন, ‘তোর কাছে বলা লাগবে?’ তখন যুবদল নেতা বলে, ‘আমার কাছে বললে সমস্যা কী?’ এসময় চেয়ারম্যান হাদীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দেখা যায়।

তখন যুবদল নেতা বলেন, গালিগালাজ করেন কেন? তার এ কথায় উত্তেজিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাদী তার কক্ষে রাখা একটি লাঠি হাতে তেড়ে আসেন। এসময় আশপাশে থাকা লোকজন চেয়ারম্যানকে আটকিয়ে ফেলে।

অভিযুক্ত হাদিউল ইসলাম হাদী হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

ভিকটিম রাজিব হোসেন বাবু হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

এ বিষয় হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজিব হোসেন বাবু বলেন, চেয়ারম্যান হাদী আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান। আমি চেয়ারম্যানকে ১৬৮০টি কার্ড কাকে বিতরণ করেছেন জানতে চাইলে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে একটি লাঠি হাতে আমাকে মারতে তেড়ে আসেন।

ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান হাবিউল ইসলাম হাদী বলেন, যুবদল নেতা রাজিব হোসেন আমার কাছে ভিজিএফের ৫০টি কার্ড দাবি করে। এগুলো নিয়েই তার সঙ্গে আমার ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সুরুজকে জানিয়েছি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সুরুজ বলেন, চেয়ারম্যান হাদী ১০ কেজি চাল দেওয়ার পরিবর্তে ৭-৮ কেজি করে চাল দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির নাম করে ৪৫০টি কার্ড রেখে নিজের লোকজনকে দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করতেই ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রাজিব হোসেন বাবুকে মারতে আসেন।

আরএ